বগুড়া

আড়তে সবজির দাম হঠাৎ কমে হয়েছিল অর্ধেক

বগুড়ার মহাস্থানে একটি সবজির আড়ত। ছবি: মোস্তফা সবুজ/স্টার

বিএনপির দেশব্যাপী তিন দিনের অবরোধে বগুড়ায় মাত্র একদিন কমেছিল শাকসবজির দাম। অবরোধের প্রথম দিনে অনেকটা স্বপ্নের মতো বগুড়ার বড় পাইকারি বাজার শিবগঞ্জের মহাস্থানে সবজির দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছিল। তবে আজ দাম আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।

অবরোধের কারণে সবজির দাম পড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ খুশি হলেও অখুশি ছিল চাষি এবং ব্যবসায়ীরা।

মহাস্থানে একটি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী সাকিউল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি জানান, গতকাল তিনি ২০ টাকা কেজি বরবটি, ২০ টাকা দিয়ে একটি লাউ এবং ৫০ টাকায় দুই কেজি বেগুন কিনেছেন। দেশে একবার দ্রব্যমূল্য বাড়লে সাধারণত আর কমে না। কিন্তু গতকাল মনে হয়েছিল যেন আবার আগের দামে সবকিছু পাচ্ছি। এটা অনেকটা স্বপ্নের মতো ছিল।

তবে রফিকুল ইসলাম নামের এক আড়ৎদারের বক্তব্য হলো, 'গতকাল কৃষকরা বাজারে প্রচুর সবজি নিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত তাদের হতাশ হতে হয়েছে। অবরোধে সবজি পরিবহনে সমস্যা হওয়ায় দাম কমে যায়। লোকসানের ভয়ে আজ বাজারে কম সবজি উঠেছে। এতে আবার দাম আগের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আগামী দিনে দাম আরও বাড়তে পারে।'

মহাস্থান কাঁচাবাজার আড়ৎদারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, অবরোধের আগে এক মণ ফুলকপির দাম ছিল ১৮০০ টাকা। গতকাল তা নেমে এসেছিল ৭০০-৮০০ টাকায়। একই পরিমাণ ফুলকপি আজ বিক্রি হয়েছে ১৪০০-১৫০০ টাকায়।

এভাবে প্রতি মণ বেগুনের দাম ১৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় নেমে এসেছিল। আজ বিক্রি হয়েছে ১২০০ টাকায়। আগে প্রতিটি লাউয়ের দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। গতকাল ছিল ১৫-২০ টাকা। আজকে দাম উঠেছে ২৫-২৬ টাকা। অবরোধের আগে শসা ছিল ১২০০ টাকা মণ। আজকে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। ঝিঙার দাম অবরোধের আগে ছিল ১৫০০ টাকা মণ। গতকাল ছিল ৭০০ টাকা। আজকে আবার ১২০০ টাকায় উঠেছে। প্রতি মণ মুলা আগে ছিল ১৭০০ টাকা। আজকে বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকায়। কাঁচা মরিচ অবরোধের আগে ছিল ১৪০ টাকা কেজি। গতকাল নেমে এসেছিল ৫০ টাকায়। কিন্তু আজ আবার ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

শফিকুল ইসলাম জানান, আজ সবজির যোগান কম। সবজির ট্রাকগুলো রাতে ছাড়ছে। তবে সড়কে ঝুঁকি থাকায় দূরপাল্লার ট্রাকগুলো অন্তত ১০ হাজার টাকা বেশি ভাড়া নিচ্ছে। বর্তমান বাজার মূল্যে একটি ট্রাকে চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকার সবজি পরিবহন করা হয়। এখন চট্টগ্রামে এক ট্রাক সবজি পাঠাতে ভাড়া লাগছে ৫০ হাজার টাকা। অবরোধের আগে এই ভাড়া ছিল ৪০ হাজার টাকা। ঢাকায় যেতে লাগছে ৩০ হাজার টাকা। সিলেট যেতে ৪০ হাজার টাকা। অবরোধ কর্মসূচি না থাকলে ভাড়া আবার আগের পর্যায়ে নেমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago