খুলনায় দূরপাল্লার বাসে যাত্রী কম
বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে খুলনায় তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। আজ সকালে খুলনা নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখা যায়।
তবে দূরপাল্লার বাসে যাত্রী কম বলে জানিয়েছে পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা।
সকাল থেকে সড়কে বাস, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, মাহিন্দ্রা, সিএনজিসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অধিকাংশ দোকান পাট, শপিংমল ও বিপণী বিতান খুলেছে।
সকালে খুলনা নগরীর দৌলতপুর, নতুন রাস্তা, বয়রা বাজার, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শিববাড়ি মোড়, ডাকবাংলা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় অটোরিকশা, ইজিবাইক চলাচল স্বাভাবিক আছে।
শহরের কোথাও বিএনপি বা জামায়াতের নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেখা যায়নি।
খুলনা নগরীর কেডি ঘোষ রোডে বিএনপি অফিসের গেটে ভেতর থেকে তালা দেওয়া দেখা গেছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্যদিনের মতো স্বাভাবিক রয়েছে। খুলনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখর রঞ্জন পাল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অন্যদিনের মতো ছাত্রীরা স্কুলে এসেছে। তবে অনেক অভিভাবক তাদের উদ্বিগ্নতার কথা জানিয়েছেন আমাকে। অন্যদিনের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক অভিভাবক স্কুল গেটে অপেক্ষা করছেন।'
খুলনা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খুলনায় কোনো অবরোধ পালিত হচ্ছে না। আমরা সব গণপরিবহণ চালু রেখেছি। খুলনা-ঢাকাসহ ১৮টি রুটে আমরা বাস চালু রেখেছি।'
তবে কমপক্ষে পাঁচ জন পরিবহনের চালক বলেছেন অর্ধেক যাত্রী নিয়ে তারা রওনা হচ্ছেন।
খুলনা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের জি এম এস পরিবহনের স্ট্যাটার (টিকিট কাটাসহ সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন যিনি) এমডি মাহফুজুর রহমান দিপু ডেইলি স্টারকে বলেন, সকাল থেকে ঢাকাগামী ৩টি বাস ছেড়ে গিয়েছে। তবে যাত্রী অনেক কম ছিল। সকাল সাড়ে ১০টায় যে বাসটি ছেড়ে গেছে তাতে মাত্র ৯ জন যাত্রী ছিল।
অবরোধের বিষয়ে জানতে খুলনা বিএনপির একাধিক নেতাদের ফোন করলেও কেউ রিসিভ করেননি।
শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অবরোধকে কেন্দ্র করে শহরের কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। জনগণের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
Comments