টঙ্গী ব্রিজে জোর করে যাত্রী নামিয়ে ৫ বাস নিয়ে সমাবেশে আ. লীগ নেতাকর্মীরা

সমাবেশে যেতে টঙ্গী ব্রিজ থেকে পাঁচটি বাসের যাত্রী জোর করে নামিয়ে দেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ছবি: স্টার

ঢাকায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশে যোগ দিতে টঙ্গী ব্রিজ থেকে পাঁচটি বাসকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

আজ শনিবার সকাল পৌনে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসব বাসের যাত্রীদের জোর করে নামিয়ে দিয়ে নেতাকর্মীদের বাসে তোলেন। নারী ও শিশুসহ সব যাত্রীকে মাঝপথে নামিয়ে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

বাসগুলো থেকে যাত্রীদের জোর করে নামিয়ে দেওয়ার পর এই যাত্রীরা বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসে ওঠার জন্য ছুটতে থাকেন। কিন্তু, বিআরটিসির বাসগুলো আগে থেকেই যাত্রীতে ঠাসা ছিল। কয়েকজন বাসের দরজায় কোনো রকমে ঝুলে গন্তব্যে রওনা হন এবং বাকিরা অপেক্ষায় থাকেন অন্য কোনো বিআরটিসি বাসের জন্য।

গাজীপুর থেকে সায়েদাবাদগামী লোকাল বাস বলাকা এক্সপ্রেস লিমিটেডের বাস কন্ডাক্টর দুঃখ করে বলেন, 'আমার পুরো বাস ভর্তি ছিল। তাদের সবাইকে জোর করে নামিয়ে দিয়েছে।'

বাসটির চালক বলেন, 'একটি বাস নিয়ে বের হলে দৈনিক মালিককে জমা দিতে হয় ৪ হাজার টাকা। এর বাইরে তেল খরচসহ রোড খরচ সবই আমাদের। সব যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বাসটা জোর করে নিয়ে নিলো। আমাদের যে ক্ষতি হবে সেটা কোথায় পাব। বাসের মালিক তো আর কোনো অজুহাত শুনবে না, তাকে পুরো টাকাই বুঝিয়ে দিতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই জন্যই রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলে বাস নিয়ে বের হতে চাই না আমরা।'

এই বাসগুলো জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটি পুলিশ চেকপোস্ট থেকে।

চেকপোস্টে দায়িত্বরত ৩ জন পুলিশ সদস্য বিশ্রাম নেওয়ার জন্য পাশের একটি দোকানে গেলে সেই সময়ের মধ্যেই বাসগুলো নিয়ে যাওয়া হয়।

আজ সকাল থেকেই এসব চেকপোস্টে প্রতিটি বাসে তল্লাশি করা হয়েছে। তবে, যেসব বাস থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন সেগুলো তল্লাশি না করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago