নির্বাচনের আগে আইএমএফ নির্ধারিত সংস্কার হবে না

আইএমএফ নির্ধারিত সংস্কার
ছবি: রয়টার্স

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের রিজার্ভ ও রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং ভর্তুকি কমাতে বড় কোনো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে না বলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) জানিয়েছে সরকার।

তবে আগামী জানুয়ারিতে নির্ধারিত নির্বাচনের পর কঠোর সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার।

আইএমএফও একমত হয়েছে যে নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আনা সম্ভব হবে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আইএমএফের চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে। নতুন সরকারকে ক্ষমতায় আসার পর সেই লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করতে হবে।

এ বিষয়ে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের দুই সপ্তাহের পর্যালোচনা মিশন আজ শেষ হতে যাচ্ছে।

গতকাল দলটি পরবর্তী উদ্যোগ চূড়ান্ত করতে ও নানা কর্মসূচির তথ্য তৈরিতে কাজ করে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ডেইলি স্টারকে জানান, আগামী ডিসেম্বরে আইএমএফের বোর্ড মিটিংয়ে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির বিষয়টি তুলে ধরা হবে।

তারা জানান, বোর্ড সম্মতি দিলে কয়েক দিনের মধ্যে সেই ঋণ দেওয়া হবে।

বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ও কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর শর্ত পূরণ করতে না পারলেও বোর্ড ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন করবে বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্যর্থতার কারণগুলো আমরা তাদেরকে জানিয়েছি। তারা এটি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন।'

দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল গত অর্থবছর শেষে ন্যূনতম রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার রাখা। কিন্তু, সেই সময় এই পরিমাণ ছিল প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার।

কেন ওই পর্যায়ে রিজার্ভ রাখা সম্ভব হচ্ছে না সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আইএমএফ প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, আগামী বছর জাতীয় নির্বাচনের পর রিজার্ভ টেকসই করতে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হবে।

অর্থপাচার কমানো, আমদানি সীমিত করা ও মুদ্রা বিনিময় হার পরিচালনার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, কিন্তু এসব উদ্যোগ রাতারাতি নেওয়া যাবে না। তাই আইএমএফের প্রতিনিধি দল রিজার্ভের প্রয়োজনীয় মাত্রা কমানোর জন্য বোর্ডকে সুপারিশ করতে রাজি হয়েছে।

আরেকটি শর্ত ছিল ২০২২-২৩ অর্থবছরে ন্যূনতম তিন লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা কর আদায় করা। সরকার এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও ব্যর্থ হয়েছে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে সরকারি খরচ কমানো ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। ভর্তুকি কমাতে জ্বালানির দাম বাজারভিত্তিক করার ফর্মুলাও চালু করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago