ধর্ষণের পর গায়ে আগুন, ৪০ দিন পর মাদ্রাসাশিক্ষার্থীর মৃত্যু

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণের পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া মাদ্রাসাশিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

ধর্ষণের ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা ওই এলাকার সাইফুল ইসলাম (২৬), নাঈম ইসলাম (২২) ও রঞ্জুর (৩৮) বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, মেয়েটিকে আগে থেকেই উত্ত্যক্ত করত অভিযুক্ত সাইফুল। পরে গত ৭ সেপ্টেম্বর তাকে ধর্ষণের পর আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।

এরপর ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪০ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার মারা যায় ১৭ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী।

আজ বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে মেয়েটির মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বাবা। 

ওসি বলেন, '৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে মেয়েটির বাড়িতে কেউ ছিল না। সে সময় অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ওই বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির গায়ে বস্তা দিয়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় সাইফুল।'

পরে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে মেয়েটিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ঢাকায় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

মেয়েটির বাবা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পাঁচ বছর আগে সাইফুল আমার মেয়েকে উত্যক্ত করেছিল। তখন গ্রামের সালিশে তাকে মারধর করা হয়েছিল। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে সাইফুল এবার আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।'

এ ঘটনায় ৯ সেপ্টেম্বর তিনি মামলা করেন। মামলায় সাইফুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও গায়ে আগুন দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ করা হয়। নাঈম ও রঞ্জুর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।

ওসি বলেন, 'মামলার পরেই সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। বাকি দুজন পলাতক আছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago