ইন্টারনেট ব্যবসার দখল নিয়ে আদাবরে ২ দিন ধরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন

গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া

রাজধানীর আদাবর ও মনসুরাবাদ এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।

স্থানীয়রা বলছেন, এলাকায় ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি সংযোগ দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে থেকে লাইন কেটে দেওয়ার পর আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে।

জানা গেছে, ওই এলাকার ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী প্রায় ১৫ হাজার।

একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় সার্ভিস প্রোভাইডারকে ফোন করা হলে তারা জানায় যে একটি পক্ষ তাদের সংযোগ কেটে দিয়েছে। কখন পুনঃসংযোগ দেওয়া হবে তা জানানো হয়নি। 

সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য স্থানীয় যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম তুহিনকে দায়ী করেছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।

আইএসপিএবির সেক্রেটারি বিজয় কুমার পালের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'আরিফুল ইসলাম তুহিন একা ব্যবসা দখলের জন্য মঙ্গলবার সকালে জনসমক্ষে বায়তুল আমান হাউজিং, মনসুরাবাদ হাউজিং এবং সুনিবিড় হাউজিংয়ের ইন্টারনেট সংযোগ কেটে দিয়েছে।'
 
এতে আরও বলা হয়, 'সংযোগ আবার চালু করতে গেলে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকার সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'

আইএসপিএবির প্রেসিডেন্ট মো. এনামুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই। আগেও তারা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিল। তাদের কোনো লাইসেন্স নেই কিন্তু এলাকার ব্যবসা দখল করতে চায়।'

কোনো মামলা করেছেন কি না, জানতে চাইলে এনামুল বলেন, 'তাদের ক্ষমতা অনেক। পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রয়েছে। সেজন্য আমরা এখনো অপেক্ষা করছি।'

যোগাযোগ করা হলে আদাবর থানা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম তুহিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমি জানি না। আমি ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নই। আমি ক্যাবল টিভির ব্যবসা করি। আমার ক্যাবল লাইনও কেটে দেওয়া হয়েছে এবং গ্রাহকরা অভিযোগ করছেন যে তারা বিশ্বকাপ দেখতে পাচ্ছেন না।'

যোগাযোগ করা হলে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ জুবায়ের ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইন্টারনেট সংযোগ সংক্রান্ত সমস্যা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে নেই।'

এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি বলেও উল্লেখ করেননি তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

What if the US election ends in a Trump-Harris tie?

While not highly likely, such an outcome remains possible, tormenting Americans already perched painfully on the edge of their seats ahead of the November 5 election

2h ago