৫ বছরে সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ২৩ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তত ২৩ ধরনের আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম যুক্ত হয়েছে। ফোর্সেস গোল-২০২৩ এর আলোকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এসব যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনা বা সংযোজন করা হয়েছে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। এসব সরঞ্জাম ১২টি দেশ থেকে আনা হয়েছে। এর বাইরে বাংলাদেশে তৈরি দুই ধরনের সরঞ্জামও রয়েছে। তবে কোন সরঞ্জাম কতটি কেনা হয়েছে এবং এর পেছনে কত ব্যয় হয়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-২০২৩ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীতে সংযোজন করা হয়েছে ১১ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। এরমধ্যে আছে চীনের লাইট ট্যাংক, তুরস্কের বিভিন্ন ধরনের আর্মার্ড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি), তুরস্কের মাল্টিপল লাঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস), সিঙ্গাপুরের অটোমেটিক গ্রেনেড লাঞ্চার (এজিএল), সার্বিয়া ও তুরস্কের রেজিমেন্ট ফিল্ড আর্টিলারি ওয়েপন সিস্টেম, স্পেনের ফিক্সড উইং মিডিয়ায় ইউটিলিটি এয়ারক্র্যাফট, দক্ষিণ আফ্রিকার সেমি অটোমেটিক গ্রেনেড লাঞ্চার (এসএজিএল), তুরস্কের আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউএভি), চীন ও সুইজারল্যান্ডের ব্যাটারি রাডার কনট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান (আরসিজি) সিস্টেম, জার্মানির আর্মাড রিকভারি ভেহিক্যাল (এআরভি) ফর ট্যাংক এবং চীনের সারফেস টু এয়ার মিসাইল (এসএএম) সিস্টেম।

নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে আট ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। এরমধ্যে আছে- খুলনা শিপ ইয়ার্ড ও চীনের তৈরি পেট্রোল ক্র্যাফট (পিসি), চীনের ফ্রিগেট, চীনের বিভিন্ন ধরনের মিসাইল ও সরঞ্জামাদি, নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ইতালির ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, খুলনা শিপ ইয়ার্ডে তৈরি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাঙ্ক (এলসিটি), কানাডার ভি-স্যাট (ভিএসএটি) নেটওয়ার্ক সিস্টেম এবং সাবমেরিন বেস বিএনএস শেখ হাসিনা নির্মাণ।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে চার ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। এরমধ্যে আছে- যুক্তরাজ্যের এমকে-৫ এয়ারক্র্যাফট, ফ্রান্সের এয়ার ডিফেন্স রাডার, ইতালির ফিক্সড উইং আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল এবং জার্মানির প্রাইমারি ট্রেইনার এয়ারক্র্যাফট।

সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৮-২০২৩ সময়কালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী ও অর্জনগুলো সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করা হয়। এ ছাড়া, রাজস্ব বাজেটের আওতায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পূর্ত কার্যক্রমের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক ২০১৮-২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়িত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের স্থিরচিত্র উপস্থাপন করা হয়।

কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মো. মোতাহার হোসেন, নাজমুল হাসান, মো. নাসির উদ্দিন, মো. মহিববুর রহমান এবং নাহিদ ইজাহার খান বৈঠকে অংশ নেন।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

2h ago