‘যারা ভোটের অধিকার হরণ করে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার হতে পারে না’

মঈন খান
বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেছেন, যে সরকার ভোটের অধিকার হরণ করে, সেই সরকার কোনোদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সরকার হতে পারে না।

আজ বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, 'পাকিস্তান ২২টি ধনী পরিবার সৃষ্টি করেছিল আর আওয়ামী লীগ ২২০টি ধনী পরিবার সৃষ্টি করেছে। যারা দেশের গরীব মানুষের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে সরকার। মুদ্রাস্ফীতির কারণে দরিদ্র মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে।'

'৪২ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ কীভাবে অর্ধেকে নেমে এসেছে সেই জবাব জনগণের কাছে এই সরকারকে দিতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রা শেষ করে আইএমএফের কাছে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড তারা ধ্বংস করে দিয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

সরকার গণতন্ত্রকে হরণ করেছে মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, 'বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল যে গণতন্ত্রের জন্য তা এই সরকার হরণ করেছে। সেই গণতন্ত্রকে ফেরাতে আন্দোলন করছে বিএনপি। স্বাধীনতার পর গণতন্ত্রকে হরণ করে আওয়ামী লীগ একবার বাকশাল কায়েম করেছিল, আবারও অলিখিত বাকশাল তারা কায়েম করেছে। যে সরকার ভোটের অধিকার হরণ করে সেই সরকার কোনোদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সরকার হতে পারে না।'

'মিথ্যা কথা বলে, ভাওতাবাজি দিয়ে, মানুষকে প্রতারিত করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের একটি মিথ্যা চিত্র তুলে ধরেছিল। এখন সারাবিশ্বে স্বৈরাচারী আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের মুখোশ খুলে গেছে,' যোগ করেন তিনি।

মঈন খান আরও বলেন, 'আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব। বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছি না। বিএনপি আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন করছে। এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমাদের সংগ্রাম।'

এ বিএনপি নেতা বলেন, 'রাজনৈতিক কারণে প্রশাসনকে ব্যবহার করে জুলুম-অত্যাচার, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলায় রায় দেওয়া, দিনের ভোট রাতে করে ভুয়া আইন তৈরি করা, এসব আর চলবে না।'

নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, 'তখন যদি আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটে আবার সরকারে আসে তাহলে তাদের অভিনন্দন জানাব। কিন্তু আওয়ামী লীগ জানে, মানুষ আর তাদের চায় না। সারাদেশের মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনে তাদের ভয় পায়।'

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, আজহারুল ইসলাম মান্নান, কাজী মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

6h ago