সন্ত্রাসী মামুনের ওপর হামলা: গুলিবিদ্ধ ভুবনের জ্ঞান ফেরেনি ৫ দিনেও

সন্ত্রাসী মামুনকে লক্ষ্য করে ‘প্রতিপক্ষের’ গুলি, মোটরসাইকেল আরোহী গুলিবিদ্ধ
সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনের প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে ছোড়া গুলিতে আহত মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলকে সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় | ছবি: প্রথম আলোর সৌজন্যে

ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি সন্ত্রাসী মামুনের ওপর হামলার সময় মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ আইনজীবী ভুবন চন্দ্র শীলের জ্ঞান ফেরেনি পাঁচ দিনেও।

অজ্ঞান অবস্থাতেই গতকাল ভুবনের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এর পর প্রায় ১৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও তার জ্ঞান ফেরেনি।

ভুবনের স্ত্রী রত্না রানী শীল বলেন, চিকিৎসকরা ৭২ ঘণ্টার আগে কিছু বলতে পারছেন না। কখন জ্ঞান ফিরবে সে ব্যাপারেও কোনো ধারণা দিতে পারছেন না।

ঢাকায় পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুবনের চিকিৎসা খরচ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সাড়ে ৬ লাখ টাকার ওপর খরচ হয়েছে। ভুবন যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সেখান থেকে খরচের একটি অংশ বহন করা হবে। এর পরও সামনের দিনগুলোতে আর্থিক সংকট বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে এই মুহূর্তে আমরা ভুবনের শারীরিক অবস্থা নিয়েই বেশি শঙ্কিত।

নিউরো সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার তত্ত্বাবধানে ভুবনের চিকিৎসা চলছে। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভুবনের মাথার পেছনে গুলি আটকে আছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বন্ধের জন্য তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তবে গুলিটি বের করা যায়নি। অজ্ঞান অবস্থাতেই তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিনি এখনো সংকটজনক অবস্থায় আছেন।'

গত সোমবার রাতে মগবাজারের একটি পানশালা থেকে বের হওয়ার পর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার মুখে পড়েন মামুন (৫৪)। প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা চারটি মোটরসাইকেলে চড়ে এসে তেজগাঁওয়ে সিটি পেট্রল পাম্প ও বিজি প্রেসের মাঝামাঝি এলাকায় মূল সড়কে মামুনের ব্যক্তিগত গাড়ি আটকে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ ও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ওই এলাকা দিয়ে যাওয়া মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন আরেক পথচারী।

ঘটনার সময় ভুবন ভাড়া করা মোটরসাইকেলে খিলক্ষেত থেকে আরামবাগে যাচ্ছিলেন। আরামবাগে একটি মেসে থাকতেন তিনি।

 

Comments