‘সালাউদ্দিন জাকী আমার কাছে কখনো বন্ধু, কখনো ভাই, কখনো গাইড’
দেশের নন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা টেলিভিশন নাটকের সুবর্ণ যুগের শিল্পী। কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করেও সাড়া জাগিয়েছেন তিনি।
সুবর্ণা মুস্তাফা অভিনীত অন্যতম সফল সিনেমা ঘুড্ডির পরিচালক সালাউদ্দিন জাকী মারা গেছেন গতরাতে।
সদ্য প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক সালাউদ্দিন জাকীকে নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন সুবর্ণা মুস্তাফা।
তিনি বলেন, 'জাকী ভাইয়ের কাজের প্রতি ভালোবাসাটা ছিল প্রবল। কখনো ছুটি কিংবা বিশ্রাম নেওয়ার কথা ভাবেননি। এই বয়সে এসেও কাজ করে গেছেন। কাজটাই ছিল তার কাছে আসল। অন্য কেউ হলে হয়ত এ বয়সে বিশ্রামে চলে যেতেন। কিন্তু তিনি কাজটাই করে গেছেন সারাজীবন।'
সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, 'সালাউদ্দিন জাকী আমার কাছে কখনো বন্ধু, কখনো ভাই, কখনো গাইড। ১৪ বছর বয়স থেকে তাকে সরাসরি চিনি। কাজেই পরিচয় ও সম্পর্কটা বহু বছরের।'
'তাছাড়া বাবার কাছে তার সম্পর্কে জেনেছি অনেক আগেই। বাবা তাকে চিনতেন অনেক আগে থেকে। একসময় তিনি ভারতের পুনে পড়ালেখা করতে যান। পড়াশোনা শেষ করে ফিরেও আসেন,' বলেন তিনি।
সুবর্ণা মুস্তাফা আরও বলেন, 'ঢাকা থিয়েটারে যোগ দেওয়ার পর আরও ভালোমতো চেনার সুযোগ হলো তাকে। অনেক গুণ ছিল তার। ঢাকা থিয়েটারে কাজ করতে করতে একসময় জানতে পারলাম ঘুড্ডি সিনেমায় আমাকে অভিনয় করতে হবে। এরপর তো অভিনয় করলাম।'
ঘুড্ডি সিনেমা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সিনেমাটি আমার জীবনে অনেক কিছু। সে বিষয়ে আরেকদিন বলব। আজ মন ভার হয়ে আছে। মানুষ চলে যাবেই। একটু যেন হঠাৎ করেই চলে গেলেন। সবকিছু ভালো মতোই চলছিল। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন। সিনেমাও করছিলেন। কিন্ত গত রাতে একেবারেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে।'
'জাকী ভাইয়ের সন্তানদের জন্য আমার ভালোবাসা ও আশীর্বাদ। তার স্ত্রীও খুব ভালো একজন মানুষ। স্ত্রীর সহযোগিতা না পেলে এতটা কাজ করা কঠিন ছিল। দুঃখ একটাই, হঠাৎ করেই চলে গেলেন,' বলেন সুবর্ণা মুস্তাফা।
Comments