সিরাজ, হার্দিকদের তোপে মাত্র ৫০ রানেই শেষ শ্রীলঙ্কা
এশিয়া কাপের ফাইনাল মঞ্চ রাঙাতে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম রোববার ছিল ভরপুর। তবে স্বাগতিক দলের চরম বিধ্বস্ত অবস্থায় তাদের উৎসব শুরুতেই মাটি। মোহাম্মদ সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া আর জাসপ্রিট বুমরাহর তোপে মাত্র ৫০ রানেই থেমে গেছে শ্রীলঙ্কা। ব্যাট করতে পেরেছে স্রেফ ১৫.১ ওভার।
ওয়ানডে ইতিহাসে এরচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার ঘটনা আছে আর কেবল ৯টি। শ্রীলঙ্কা তাদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানে অলআউট হলো।
লঙ্কানদের ধসিয়ে দিতে ৭ ওভার বল করে ২১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন সিরাজ। যার মধ্যে এক ওভারেই নিয়েছে ৪ উইকেট। নিজের প্রথম ১০ বলেই ৫ উইকেট পুরো করে ফেলেন ডানহাতি পেসার। প্রথম উইকেট নেন অবশ্য বুমরাহ। হার্দিক এসে পরে ৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে মুড়ে দেন ইনিংস। এশিয়া কাপের ফাইনালের আসরে এটিই কোন দলের সর্বনিম্ন পুঁজি।
অথচ টস জিতে ব্যাটিং বেছে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেতে চেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। দারুণ স্যুয়িং বোলিংয়ে তাদের সেই স্বপ্নে শুরুতেই ধাক্কা দেন বুমরাহ। তার বেরিয়ে যাওয়া বল খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কুশল পেরেরা। এরপর মঞ্চে আসেন সিরাজ।
চতুর্থ ওভারে তিনি হয়ে উঠেন বিধ্বংসী। দুই দিকেই স্যুয়িং পাচ্ছিলেন, তবে লঙ্কানদের ব্যাটিংও হয়নি জুতসই। বাইরের বল তাড়া করে তারাও ডেকে এনেছেন বিপদ। পাথুম নিশানকা ড্রাইভ খেলে ক্যাচ দেন পয়েন্টে, চারিথা আসালাঙ্কাও তা-ই। সাদেরা সামারাবিক্রমা কাবু হন ভেতরে ঢোকা বলে। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা বাইরের বল তাড়া করে দেন ক্যাচ। দাসুন শানাকা ফ্লিকের মতো খেলে বোল্ড।
এক ওভারে ৪ উইকেট, পরের ওভারে আরেকটি নিয়ে। ১০ বলের মধ্যে ৫ উইকেট হয়ে যায় তার। ১২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে তারা।
স্রোতের বিপরীতে দুই অঙ্কে যান কুশল মেন্ডিস। যদিও টিকতে পারেননি বেশি। ৩৪ বলে ১৭ রান করে সিরাজের ভেতরে ঢোকা বলে হন বোল্ড। লঙ্কানদের স্কোর পঞ্চাশ পার হয় নয়ে নামা দুশন হেমন্তের কারণে। ১৫ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ উইকেটগুলো টপাটপ নিয়ে নেন হার্দিক।
Comments