বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতে তুরস্কের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান
বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে তুরস্কের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আজ রোববার সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান তিনি।
এসময় তারা বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মাহবুবুল আলম বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শিল্প কারখানা স্থাপন করেছে। তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন। ফলে একদিকে যেমন বাংলাদেশের বিশাল ভোক্তা বাজারে তুর্কি ব্যবসায়ীদের প্রবেশ সহজতর হবে এবং শ্রমবান্ধব বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বিশাল সুযোগ তৈরি হবে। প্রয়োজনে তুরস্কের ব্যবসায়ীদের যাবতীয় সহযোগিতা করবে এফবিসিসিআই।'
তিনি আরও বলেন, 'বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি চমৎকার নীতিমালা আছে বাংলাদেশে। আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে শিল্প স্থাপন করে তারা অন্যান্য দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। এখানে বিনিয়োগ করে লভ্যাংশ নিজ দেশে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াও অত্যন্ত সহজ।'
এসময় তুরস্কে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি জোরদারে শুল্ক বাধা দূর করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, অনেক বছর ধরে তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশে তেল পরিশোধন শিল্প, নির্মাণ শিল্প, ঔষধ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল, পর্যটন, কৃষি ও দুগ্ধজাত শিল্প, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং নৌ-পরিবহন খাতে তুরস্কের বাণিজ্য সম্ভাবনা আছে বলেও এসময় উল্লেখ করা হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন এসময় বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন। দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্ক কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
Comments