ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টির হানা

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির শঙ্কা ছিল আগেই। যে কারণে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার এই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে রিজার্ভ ডে রাখার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেয় এসিসি। শেষ পর্যন্ত সে শঙ্কাই সত্যি হয়েছে। ভারতীয় ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টি হানা দিয়েছে ফলে বন্ধ রয়েছে ম্যাচটি। ফলে উইকেট ঢেকে রাখা হয়েছে কভার দিয়ে।

রোববার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সুপার ফোরের ম্যাচে ২৪.১ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৪৭ রান করেছে। বিরাট কোহলি ৮ ও লোকেশ রাহুল ১৭ রানে রয়েছেন উইকেটে।

এদিন টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় পাকিস্তান। তবে তাদের হতাশ করে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার শিভমান গিল ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরুতে রোহিত কিছুটা দেখে খেললেও শুভমান ছিলেন আগ্রাসী। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে হাত খুলতে থাকেন অধিনায়কও। এক সময় তো শুভমানকেও ছাপিয়ে যান। তাতে রান উঠতে থাকে দ্রুত গতিতে।

৮.২ ওভারে অর্থাৎ ৫০ বলে দলীয় ফিফটি আসে ভারতের। তবে পরের ফিফটি আসে মাত্র ৩০ বলে। ১৩.২ ওভারে দলীয় শতরান পার করে দলটি। দুই ওপেনারই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। ৩৭ বলে ১০টি চারের সাহায্যে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন শুভমান। আর ৪২ বলে টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ফিফটি পূরণ করেন অধিনায়ক রোহিত।

ব্যক্তিগত ৫৬ রানে আউট হন ভারতীয় অধিনায়ক। শাদাব খানের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে লংঅফের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে বেশ কিছু দূর দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ভাঙে ১২১ রানের জুটি। ১০০ বলে এই জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার।

জুটি ভাঙতেই ফের বোলিংয়ে আসেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। বল হাতে এদিন শুরুতে নাসিম শাহ দারুণ বল করলেও এলোমেলো বোলিং করেন সময়ের অন্যতম সেরা এ পেসার। প্রথম ওভারে একটি ছক্কা হজম করলেও পরের দুই ওভারে তাকে তিনটি করে বাউন্ডারি মারেন শুভমান। প্রথম তিন ওভারে এই পেসার খরচ করেন ৩১ রান।

দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে সেই শুভমানকে ফেরান শাহিন। তার গুডলেন্থের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে কভারে শাদাব কাহ্নের হাতে ধরা পড়েন এই ওপেনার। ৫২ বলে ৫৮ রান তার ব্যাট থেকে। তবে ব্যক্তিগত ৩০ রানেও সুযোগ দিয়েছিলেন শুভমান। নাসিম শাহর শর্ট বলে ব্যাটের কানায় লাগলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে সেখানে দাঁড়ানো ফিল্ডার ইফতেখার আহমেদ কোনো চেষ্টাই করেননি

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago