বরিশাল জেলা জাপার আহ্বায়ক অস্ত্রসহ আটক
বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মর্তুজা আবেদিনকে অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীরর সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের সামনে থেকে স্থানীয় জনতা অস্ত্রসহ তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের সম্পাদক রইজউদ্দিন মান্না অভিযোগ করেন, 'আমি পারিবারিক জমি সংক্রান্ত কাজে সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে গিয়েছিলাম। কাজ শেষে বেরিয়ে আসতেই মতুর্জা আবেদিন আমাকে গালি দিতে শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করলে হঠাৎ পিস্তল বের করে গুলি করতে উদ্যত হয়। আমার চিৎকারে স্থানীয় জনগণ এগিয়ে এসে তাকে ধরে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়।'
ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন অটোরিকশাচালক সুমন। তিনি বলেন, 'আমরা ২ জনকে দৌড়ে আসতে দেখি। এ সময় মর্তুজার হাতে অস্ত্র ছিল।'
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক ইনস্পেকটর সফিক। তিনি জানান, 'মর্তুজার হাতে অস্ত্র ছিল। ওনারা একটি অটোরিকশার ভেতরে ঢুকে পড়লে স্থানীয় জনতা অস্ত্রসহ মর্তুজাকে ধরে ফেলে এবং থানায় জানায়।'
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান বলেন, 'আমরা বিষয়টি দেখছি। আশে পাশের সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করে দেখা হবে।'
জানতে চাইলে মতুর্জা আবেদিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ভূমি অফিস থেকে ফিরে আসার সময় মান্না আমাকে গালিগালাজ করে। এরপর তার সঙ্গে লোকজন আমাকে মারধর করে আমার পকেটে থাকা পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমি পিস্তলটি কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে দিতে উদ্যত হলে আমার কাছ থেকে মান্নার লোকেরা পিস্তল ছিনিয়ে নেয়।'
এদিকে এ ঘটনায় উভয়পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। দিনের এ ঘটনার একাধিক ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে।
খবর পেয়ে কোতয়ালী থানার সহকারী কমিশনার ফজলুল কবীর ইতোমধ্যে ভূমি অফিসের সামনের এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগনের বক্তব্য নেন। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বিষয়টা দেখছি। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করে দেখা হবে।'
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হামিদুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা এখনো অনুসন্ধান করছি। কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। এ মুহূর্তে মর্তুজা আমোদের হেফাজতে আছে।'
উল্লেখ্য, গত বিসিসি নির্বাচনে মর্তুজা আবেদিনের অভিযোগের কারণে বরিশাল সিটির ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রইজ আহম্মেদ মান্নার প্রার্থিতা আদালতের আদেশে বাতিল হয়। পরে মান্নার ভাই মুন্না নির্বাচনে দাঁড়ান এবং কাউন্সিলর পদে মর্তুজাকে পরাজিত করে। কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে এই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং এই দুই নেতার মধ্যে এলাকার প্রভাব বিস্তার নিয়ে বৈরীতা তৈরি হয়।
Comments