রাতের আঁধারে গ্রেপ্তার করতে এলে ছবি তুলে রাখবেন: আমীর খসরু

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, 'যারা রাতের আঁধারে গ্রেপ্তার করতে আসে, তাদের ছবি তুলে রাখবেন। আশেপাশের সবাইকে, প্রতিবেশীদের বলবেন।'

আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি নুর আহমেদ সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত কালো পতাকা গণমিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই মিছিল ও সভার আয়োজন করে নগর বিএনপি। বিকেল ৩টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী যোগ দেন।

আমির খসরু বলেন, 'বিএনপি ভদ্রলোকের দল। এখনও সুশৃঙ্খলভাবে, অহিংসভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা প্রতিবাদ করছি। কিন্তু বাসায় গিয়ে গ্রেপ্তার, গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলা এইগুলো যদি চলতে থাকে তাহলে প্রতিরোধ করব। প্রতিরোধ কী জিনিস তখন বুঝতে পারবেন।'

মিছিল পূর্ববর্তী এক সভায় এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, 'বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আগে-পরে গ্রেপ্তার চলছে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ ধরা পড়ার নাটক সাজাচ্ছে। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলায়, গায়েবি মামলায় নেতাকর্মীদের জেলে পাঠানোর প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী বিচারক লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আর তাদের ব্যবহার করে জেলে পাঠানো হচ্ছে।'

'ফৌজদারী মামলা, মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। কিছু পুলিশ দিচ্ছে, কিছু দিচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কেউ যদি মিথ্যা মামলা দিয়ে থাকে তা কিন্তু শাস্তিযোগ্য অপরাধ, দণ্ডনীয় অপরাধ। আপনারা যারা এই কাজ করছেন মাথায় রাখবেন, আগামী দিনে সারাজীবন জেলখানায় কাটাতে চান? নাকি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে জনগণকে সুরক্ষিত করতে চান?' বলেন তিনি।

ব্রিকস সম্মেলেনে সরকার ব্যর্থ দাবি করে এই সাবেক মন্ত্রী বলেন, 'সরকার যেভাবে দেশে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তেমনি বিদেশেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। যাওয়ার জায়গা নেই তাদের। মানুষের করের টাকায় প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ আমেরিকা গেছেন ব্রিকসের সদস্য হতে। সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো মিলে যে অফিসিয়াল ফটোসেশন হয়, সেখানেও প্রধানমন্ত্রী নেই।'

নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, 'মানুষ আজ রাজপথে থাকতে চায়। জঙ্গি নাটক সাজানো হচ্ছে।'

সভায় অনান্য জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেন। সভা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিছিল শুরু হয়ে। নগরীর লাভলেন সড়ক, ডিসি হিল সড়ক, চেরাগী পাহাড় মোড় ঘুরে মিছিলটি আন্দরকিল্লা মোড়ে গিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেষ হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

11h ago