‘দুই দিন ধরে মর্গের সামনে বসে আছি, এখনও ছেলের লাশ পাইনি’

প্রতীকী ছবি

হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ১৬ বছরের ওই কিশোরের মৃত্যুর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও তার পরিবার মরদেহ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরের মা রোজিনা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'কাগজপত্রের ঝামেলা আছে বলে এখনও আমাদের লাশ দেওয়া হচ্ছে না। গত দুই দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গের সামনে আমরা বসে আছি।'  

গাজীপুর জেলা সমাজ সেবা উপ-পরিচালক এস এম আনোয়ারুল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ডকুমেন্ট পাঠাতে দেরি হয়েছে। তার জন্য এখনো লাশ মর্গে আছে। 

টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আহিয়াতুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খিচুনি সমস্যায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।

গাজীপুর জেলা সমাজ সেবা উপপরিচালক এস এম আনোয়ারুল করিম বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু অসুস্থ হওয়ার পর ছেলেটি তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পায়নি।

তিনি বলেন, ২৩ আগস্ট রাত ১০টার দিকে অসু্স্থ হয় ছেলেটি। রাত ১১টার দিকে তাকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে রাতেই শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ২৪ আগস্ট সকালে মারা যায়।

আনোয়ারুল করিম বলেন, শিশুটির খুব বেশি সমস্যা ছিল না। এখানে চিকিৎসা সেবা দিতে পারতেন তারা।

যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তারিক হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ওই নামে কোনো রোগীকে এই হাসপাতাল আনা হয়নি।

তবে উপপরিচালক এস এম আনোয়ারুল করিম শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল থেকে রোগীকে দেওয়া রেফার্ড স্লিপটি দ্য ডেইলি স্টারকে দিয়েছেন।

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

6h ago