বিলুপ্তির শঙ্কায় পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কুস্তি খেলা
ঢাকায় কুস্তি চর্চার কেন্দ্রস্থল হিসাবে পরিচিত সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদী তীরবর্তী রাজধানীর একমাত্র কুস্তি স্টেডিয়াম। স্টেডিয়াম সংলগ্ন কুস্তির প্রশিক্ষণ ও চর্চার স্থান নবযুগ শরীরচর্চা কেন্দ্রের জায়গায় পাঁচতলা একটি ভবন নির্মাণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ভবনটি নির্মিত হওয়ার পর থেকে কখনো সম্পূর্ণ, কখনো আংশিক পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্মিত হওয়ার পর ভবনটির নাম বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়েছে। সাদেক হোসেন খোকা মেয়রের দায়িত্বে থাকাকালে কুস্তি স্টেডিয়াম এবং স্টেডিয়াম সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী নবযুগ শরীরচর্চা কেন্দ্র বিলুপ্ত করে 'মাল্টিপারপাস সেন্টার' নামে বিশালাকার ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এরপর প্রায় ৯ বছর ভবনটি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত থাকে। ২০২০ সালে ভবনটিকে 'ক্লাইমেট রিফিউজি এন্ড সোশ্যাল সার্ভিস সেন্টার' রূপে উদ্বোধন করা হয়। সাঈদ খোকনের আমলে একটি এনজিওকে ভবনটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। বর্তমান মেয়র ফজলে নুর তাপসের আমলে এনজিওকে দেয়া বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এরপর ভবনটির নাম 'ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র' করা হয়। তবে দেখা যায়, ভবনটির অধিকাংশ স্থান এখন পরিত্যক্ত।
সদরঘাট অঞ্চলে বুড়িগঙ্গা নদী তীরবর্তী কুস্তি স্টেডিয়াম এবং স্টেডিয়াম সংলগ্ন নবযুগ শরীরচর্চা কেন্দ্রে সারা বছর কুস্তিসহ বিভিন্ন ধেলাধূলার নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও চর্চা ছাড়াও এখানে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের কুস্তি প্রতিযোগিতা। সংশ্লিষ্টদের মতে, নবযুগ শরীরচর্চা কেন্দ্র এবং কুস্তি স্টেডিয়াম বিলোপের ফলে পুরান ঢাকার কুস্তি খেলার চর্চা ও প্রতিযোগিতার স্থানের চরম সংকট তৈরি হয়েছে। পুরান ঢাকা থেকে কুস্তি খেলার চর্চা বিলুপ্তির আশংকা দেখা দিয়েছে।
গবেষকদের মতে, মুঘল আমল থেকে ঢাকায় কুস্তি খেলা প্রচলিত। ঢাকায় কুস্তির প্রশিক্ষণ ও চর্চার প্রতিষ্ঠানকে বলা হতো 'আখড়া'। আর আখড়ার মধ্যে লালমাটি দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি কুস্তিস্থলকে বলা হতো 'ফালকা'। হাকিম হাবিবুর রহমান-এর 'ঢাকা পচাশ বারস পেহেলে' (ঢাকা পঞ্চাশ বছর আগে) শীর্ষক উর্দু গ্রন্থে 'কুস্তি ও ব্যায়াম' শীর্ষক অধ্যায়ে উল্লেখ আছে, 'ফালকা সেই জায়গাকে বলে যেখানে কুস্তির লড়াই হয়। এই ফালকা বা কুস্তিস্থল ঘরের সমতল মেঝে থেকে নিচু হতো এবং সেখানে কমপক্ষে দেড় বিঘৎ লাল মাটি বিছানো হতো। এখানে কুস্তি-স্থলে লাল মাটি ছাড়া অন্য কোন মাটি বিছানো হতো না। এই মাটিতে কয়েক মাস ধরে তেল, ঘি এবং মাঠা ঢালা হতো এবং সকালে প্রত্যেক শিক্ষানবিশ সর্বপ্রথম কোদাল দিয়ে ফালকা কোঁপাতো।'
সদরঘাটের কুস্তি স্টেডিয়ামের মাঝে ছিল লাল মাটি দিয়ে তৈরি ফালকা। এ সম্পর্কে ঢাকা গবেষক ও পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাশেম সূফী বলেন, 'সদরঘাটের কুস্তি স্টেডিয়ামটি ছিল ঘরোয়া ধরণের। স্টেডিয়ামটির মাঝখানে ছিল কুস্তি খেলার লাল মাটির চৌকোনা ফালকা। মুঘল আমলে ফালকায় ঘি, তেল, মাঠা ইত্যাদি ঢালা হলেও সদরঘাটের কুস্তি স্টেডিয়ামের ফালকায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে ঢালা হতো মূলত সরিষার তেল।'
ফালকার চারপাশে ছিল দর্শকদের বসার গ্যালারি। পাকিস্তান আমলে কাজি রহিম পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র 'ভাইয়া'র শুটিং হয়েছিল সদরঘাটের কুস্তি স্টেডিয়ামটিতে। চলচ্চিত্রটিতে চ্যালেঞ্জ কুস্তিতে নায়ক আকবরের অভিনয় ছিল।
কুস্তি স্টেডিয়াম সংলগ্ন নবযুগ শরীর চর্চা কেন্দ্রে ছিল আরো দুটি লাল মাটির ফালকা। একটি ছিল শরীরচর্চা কেন্দ্রের ভবনের ভেতরে এবং অপরটি কেন্দ্রের উন্মুক্ত চত্বরে। এ প্রসঙ্গে হাশেম সূফী জানান, মুঘল আমলে ঢাকায় উন্মুক্ত চত্বরে কুস্তির প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র তৈরির রেওয়াজ ছিল। ব্রিটিশ আমলের শেষভাগে বিপ্লবীদের উদ্যোগে ঢাকার বিভিন্ন মহল্লায় কুস্তির আখড়া প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এসব আখড়ায় কুস্তির ফালকা তৈরি করা হতো ভবনের ভেতরে। নবযুগ শরীর চর্চা কেন্দ্রে প্রথমে কুস্তির ফালকা তৈরি করা হয়েছিল ভবনের ভেতরে এবং পরে ভবন সংলগ্ন উন্মুক্ত চত্বরেও নির্মাণ করা হয়েছিল কুস্তির আরেকটি ফালকা। কুস্তি ছাড়াও নবযুগ শরীর চর্চা কেন্দ্রে বক্সিং, বডি বিল্ডিং, ওয়েট লিফটিং, জিমন্যাস্টিকস ইত্যাদি খেলার প্রশিক্ষণ ও চর্চা হতো।
২০০৯ সালে সাদেক হোসেন খোকার সময়ে যখন এই ভবন ভেঙে মাল্টিপারপাস সেন্টার নির্মাণ শুরু হয় তখন স্থানীয় জনগণ প্রতিবাদ করেন। মানববন্ধন, সমাবেশ ইত্যাদি কর্মসূচি পালিত হয়।
জনগণের প্রতিবাদকে উপেক্ষা করে ২০১১ সালে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২৩.৮০ শতক ভূমির উপর নির্মিত ভবনটির প্রতি ফ্লোরের আয়তন ১১ হাজার ৩ শত ৩ বর্গফুট। নির্মাণের পর দীর্ঘদিন ভবনটি পরিত্যক্ত ছিল। ২০২০ সালে ২৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী 'ক্লাইমেট রিফিউজি এন্ড সোশ্যাল সার্ভিস সেন্টার' রূপে ভবনটির উদ্বোধন করেন এবং ভবনটির নিচতলায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু উদ্বোধনের পর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে 'ক্লাইমেট রিফিউজি এন্ড সোশ্যাল সার্ভিস সেন্টার'-এর কোনো ধরণের কার্যক্রম শুরু না করে তারা সাজিদা ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিওকে ভবনটি বরাদ্দ দেয়। বর্তমান মেয়র ২০২১ সালের জুনে এই বরাদ্দ বাতিল করেন।
সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানিয়েছে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে মাল্টিপারপাস সেন্টার (সোশ্যাল সার্ভিস সেন্টার) ভবনে নির্মিত সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রটি 'ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র' নামে নামকরণ করা হয়।'
কয়েক মাস আগে ভবনটির সামনে 'ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র' নামে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে ভবনটির সামনে 'পাবলিক টয়লেট'-এর সাইনবোর্ড রয়েছে তিনটি। ভবনের পশ্চিম দিকে টয়লেটগুলো বর্তমানে পাবলিক টয়লেট হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সাইনবোর্ড টানানো ছাড়াও মাইক দিয়ে পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের জন্যে প্রচার করা হচ্ছে। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় পশ্চিম দিকের একটি কক্ষ ব্যবহার হচ্ছে ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয় রূপে। নিচতলায় টয়লেট, দোতলার কমিশনার কার্যালয় এবং ভবনটির ৫তলায় কমিউনিটি সেন্টার ছাড়া ভবনটির অন্য সকল স্থান অব্যবহৃত অবস্থায় আছে।
ব্রিটিশ আমলের শেষভাগে বর্তমান সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের বিপরীত দিকে বাকল্যান্ড বাঁধ সংলগ্ন স্থানে ছিল লেডিস পার্ক, যেখানে বর্তমানে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের 'লেডিস পার্ক হকার্স মার্কেট' নামে একটি তিনতলা ভবন। লেডিস পার্ক থেকে প্রায় ১৭০ মিটার পূর্ব দিকে বাকল্যান্ড বাঁধ সংলগ্ন স্থানে ছিল ঢাকার শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম কেন্দ্র নর্থব্রুক হল তথা লালকুঠি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তৎকালীন ঢাকা মিউনিসিপালিটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বাকল্যান্ড বাঁধ সংলগ্ন উত্তর দিকে ক্রীড়া ও শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা ও অবকাশ যাপনের পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখতে লেডিস পার্ক ও নর্থব্রুক হলের মধ্যবর্তী বাঁধ সংলগ্ন স্থানে কুস্তি স্টেডিয়াম ও শরীর চর্চা কেন্দ্র নির্মাণ করে।
নাজির হোসেন-এর 'কিংবদন্তির ঢাকা' শীর্ষক গ্রন্থ এবং হাশেম সূফীসহ গবেষকদের কাছ থেকে জানা যায়, সদরঘাটে কুস্তি স্টেডিয়াম ও শরীরচর্চা কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৪৯ সালে। তখন নামকরণ করা হয়েছিল কায়েদে আযম ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় নবযুগ শরীরচর্চা কেন্দ্র।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক এবং বাংলাদেশ এ্যামেচার রেসলিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তবিউর রহমান পালোয়ান জানান, পাকিস্তান আমলে সদরঘাটের কুস্তি স্টেডিয়ামে তিনি কুস্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন একাধিকবার। তিনি ্আরো জানান, পাকিস্তান আমলে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো বর্ণাঢ্যভাবে। এছাড়া প্রাদেশিক বিভিন্ন কুস্তি প্রতিযোগিতার স্থান ছিল সদরঘাটের কুস্তি স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও নবযুগ শরীরচর্চা কেন্দ্রে কুস্তির নিয়মিত চর্চা ও বিভিন্ন কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো সেখানে।
তবিউর রহমান পালোয়ান আরো উল্লেখ করেন, কুস্তি স্টেডিয়াম ও নবযুগ শরীর চর্চা কেন্দ্রটি বিলোপের ফলে ঢাকার কুস্তি চর্চার বিশাল ক্ষতি হয়েছে। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কুস্তি স্টেডিয়াম ও নবযুগ শরীর চর্চা কেন্দ্রটি ধ্বংস করা ঠিক হয়নি। এটি রক্ষা করা আমাদের উচিৎ ছিল।
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও পুরান ঢাকার নন্দলাল দত্ত লেনের বাসিন্দা মো: জাহাঙ্গীর আলম বিগত শতকের ষাটের দশক থেকে নিয়মিত নবযুগ শরীর চর্চা কেন্দ্রে শরীর চর্চা করতেন। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, কুস্তি স্টেডিয়াম ও নবযুগ শরীর চর্চা কেন্দ্র ভেঙ্গে নতুন বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্থানীয় জনসাধারণ মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছিল। কিন্তু স্থানীয় জনগণের প্রতিবাদকে উপেক্ষা করে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ কুস্তি স্টেডিয়াম ও শরীর চর্চা কেন্দ্রটি ধ্বংস করে দিয়েছে। পুরান ঢাকার ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে কুস্তি স্টেডিয়াম ও নবযুগ শরীর চর্চা কেন্দ্রটি পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে দাবি জানান তিনি।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা ও গবেষক হাশেম সূফী এ প্রসঙ্গে বলেন, কুস্তি স্টেডিয়াম ও নবযুগ শরীর চর্চা কেন্দ্র ধ্বংস করার কারণে পুরান ঢাকা থেকে কুস্তি খেলার চর্চা বিলোপের আশংকা দিয়েছে। কুস্তি স্টেডিয়াম ও নবযুগ শরীর চর্চা কেন্দ্রটি পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে কুস্তি স্টেডিয়ামের স্থলে নতুন নির্মিত মাল্টিপারপাস ভবনটির অন্তত একটি ফ্লোর কুস্তিসহ বিভিন্ন খেলাধুলার চর্চার জন্য বরাদ্দ রাখা উচিৎ।
ভবনটিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে গিয়ে স্থানীয় (৩৭ নম্বর) কাউন্সিলর মোঃ আবদুর রহমান মিয়াজিকে কুস্তি স্টেডিয়াম ও শরীরচর্চা কেন্দ্র ধ্বংস করে ভবন নির্মাণের প্রসঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, তার দায়িত্ব গ্রহণের সময় এখানে কোনো স্টেডিয়াম বা শরীরচর্চা কেন্দ্র ছিল না। এসব হয়তো আগের ঘটনা, তাই এসব নিয়ে তিনি কথা বলতে পারবেন না। ভবনটির একটি ফ্লোর কুস্তিসহ বিভিন্ন খেলাধুলার জন্য বরাদ্দ করার স্থানীয় জনগণের দাবি সম্পর্কে মতামত চাইলে মিয়াজি বলেন, বিষয়টি আমার এখতিয়ারে নাই। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোশেনে যোগাযোগ করতে তিনি পরামর্শ দেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ দপ্তরে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে পরামর্শ দেয়া হয়। তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার পর লিখিতভাবে জানানো হয়, ভবনটি ভবিষ্যতে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র, কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, লাইব্রেরী ও ব্যায়ামাগার ইত্যাদি নানাবিধ মাল্টিপারপাস কাজে ব্যবহার করা হবে। তবে কবে থেকে ভবনটি নানাবিধ কাজে ব্যবহার করা হবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য সিটি কর্পোরেশন থেকে পাওয়া যায়নি।
Comments