এএফসি কাপ

মোহনবাগানের কাছে হেরে বিদায় আবাহনীর

ছবি: ফেসবুক

শুরুর দিকে পাওয়া লিড ধরে রাখত পারল না আবাহনী। প্রথমার্ধের শেষদিকে গোল হজমের পর ছন্দ হারিয়ে ফেলল তারা। ক্রমেই মলিন হয়ে পড়ায় দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুবার বল প্রবেশ করল তাদের জালে। ফলে এএফসি কাপের প্লে-অফ থেকে বিদায় নিল মারিও লেমোসের শিষ্যরা।

কলকাতার সল্টলেক বিবেকানন্দ যুব ভারতী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ভারতের মোহনবাগানের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশের আবাহনী। এতে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে উঠতে ব্যর্থ হলো ঐতিহ্যবাহী আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। এর আগে সিলেটে দ্বিতীয় প্রিলিমিনারি রাউন্ডে মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলসের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে প্লে-অফে জায়গা করে নেয় তারা।

 

রক্ষণ জমাট রেখে পাল্টা আক্রমণে ওঠার কৌশল বেছে নিয়েছিল আবাহনী। শুরুতে তা কাজে দিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আলগা হয়ে যায় রক্ষণ। মোহনবাগানের একের পর এক আক্রমণের ঝাপটা আর সামাল দিতে পারেনি তারা।

ম্যাচের ১৭তম মিনিটে আবাহনীকে উল্লাসে মাতান স্টুয়ার্ট কর্নেলিয়াস। সতীর্থের কর্নারের পর বল পেয়ে যান ডেভিড ইফেগুইয়ে। তার শট প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ ঠিকমতো লুফে নিতে পারেননি। সামনেই ফাঁকায় থাকা সুযোগসন্ধানী কর্নেলিয়াস আলগা বল পা ছুঁইয়ে পাঠিয়ে দেন জালে।

দমে না গিয়ে আক্রমণের গতি বাড়ানো মোহনবাগান সমতায় ফেরে ৩৭তম মিনিটে। পেনাল্টি থেকে শহিদুল আলম সোহেলকে পরাস্ত করেন জ্যাসন কামিংস। ঠিক দিকে লাফ দিলেও শট রুখে দেওয়া সম্ভব হয়নি আবাহনীর গোলরক্ষকের। এর আগে লিস্টন কোলাসোকে ডি-বক্সে সুশান্ত ত্রিপুরা ফেলে দিলে স্পট-কিকের বাঁশি বাজান রেফারি।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে অল্পের জন্য ফের এগিয়ে যাওয়া হয়নি আবাহনীর। মুজাফফর মুজাফফরভের ফ্রি-কিকে মিলাদ শেখ সুলামানির হেড গড়িয়ে গড়িয়ে বাধা পায় পোস্টে। ইউসেফ মোহাম্মেদ সামনেই ছিলেন ফাঁকায় দাঁড়িয়ে। কিন্তু বলে-পায়ে কাঙ্ক্ষিত সংযোগ ঘটাতে পারেননি তিনি।

বিরতির পর আবাহনীর পারফরম্যান্সের ধার চলে যায়। ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে তারা আত্মঘাতী গোলে। কামিংস বামদিকে খুঁজে নেন হুগো বুমুসকে। তিনি গোলমুখে বিপজ্জনক জায়গায় করেন ক্রস। বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দেন সুলেমানি।

দুই মিনিট পর খেলা মুঠোয় নিয়ে নেয় মোহনবাগান। বাইলাইনের কাছ থেকে কোলাসোর পাসে ডি-বক্সের  ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন আরমান্দো সাদিকু। এরপর লেমোস বেশ কিছু খেলোয়াড় পরিবর্তন করলেও ম্যাচে আর ফেরা হয়নি আবাহনীর। এএফসি কাপের গত মৌসুমের প্লে-অফেও মোহনবাগানের কাছে একই ব্যবধানে হেরেছিল তারা।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

17h ago