নারায়ণগঞ্জে ‘আধিপত্য বিস্তারে’ ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা-ভাঙচুর, কারাগারে ২৯
নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকায় গত শনিবার রাতে অর্ধশত তরুণের একটি দল লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়।
এ সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা, একজন রিকশাচালকসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়।
পুলিশ বলছে, ওই এলাকায় 'আধিপত্য বিস্তারকে' কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওই ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা করেছে। মামলার পর ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করে আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে প্রায় অর্ধশত কিশোর ও তরুণের একটি দল হামলা মাসদাইরের ঈদগাহ রোড দিয়ে প্রবেশ করে বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত অস্ত্র হাতে মহড়া দেয়।
তারা রাস্তার পাশের একটি রেস্তোরাঁ, মুদির দোকান ও বাসাবাড়ির জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে। পরে মাসদাইরের স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়ে ঢুকেও ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪৫-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ২৯ আসামির মধ্যে এজাহারনামীয় আসামি ৪ জন। বাকিদের সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন-মাসদাইর এলাকার শেরে বাংলা রোডের ইব্রাহিমের ছেলে সাব্বির ওরফে চশমা সাব্বির (২৭), ইসদাইরের গণি মোল্লার দুই ছেলে হান্নান মোল্লা (৩৫) ও মো. হোসেন (৩৪), ফতুল্লার শিয়াচর তক্কারমাঠ এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে মো. চঞ্চল (৩২), গাবতলী আল-আমিনবাগ এলাকার মোতালেব বেপারীর ছেলে মো. সৌরভ (৩২), নারায়ণগঞ্জ সদর এলাকার মশিউর রহমান রনি (৪২), মাসদাইরের শেরে বাংলা রোডের বায়জিদ (২৬) ও রোহান (২৮)।
তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন হান্নান মোল্লা, মো. হোসেন, মো. সৌরভ ও চঞ্চল, বাকিরা পলাতক।
জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ৪ জন হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আগে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে।'
এদিকে ওই ঘটনার পর রোববার রাতে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই ৪ জনকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব-১১ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক কাজী শাহাবুদ্দীন আহম্মেদ জানিয়েছেন।
Comments