ধর্ষণ মামলা

মতিঝিল আইডিয়ালের মুশতাক নৈতিকভাবে ঠিক করেননি: হাইকোর্ট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের আগাম জামিন আবেদন ফেরত পাঠিয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ মুশতাকের আইনজীবীর কাছে জামিনের আবেদন ফেরত পাঠিয়ে বলেছেন, নৈতিকভাবে আপনি ঠিক কাজ করেননি।

মামলায় আগাম জামিনের জন্য আদালতে হাজির হওয়া মুশতাককে বেঞ্চ জিজ্ঞাসা করেছে, তিনি বিবাহিত কি না।

জবাবে মুশতাক জানান, আগের স্ত্রীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়েছে।

মুশতাকের আইনজীবী সোহরাব হোসেন আদালতকে বলেন, ওই শিক্ষার্থী প্রাপ্তবয়স্ক এবং তার মক্কেল তাকে বিয়ে করেছেন।

হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছে যে তারা আবেদনের শুনানি করতে আগ্রহী নয়।

জামিন আবেদনের বিরোধিতাকারী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আবেদনকারী অন্য বেঞ্চে জামিন চাইতে পারেন।

মুশতাক ও কলেজের অধ্যক্ষ ফওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভিনের আদালতে ওই প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখার এক শিক্ষার্থীর বাবা মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে তিনি বলেন, তার মেয়ে (ভিকটিম) মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে এসে তার মেয়েকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনতেন।

খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন। সে রাজি না হলে মুশতাক তাকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করার হুমকি দেন এবং তার পরিবারকেও হুমকি দেন।

পরে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী কলেজের অধ্যক্ষকে মুশতাকের এমন আচরণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ সহযোগিতা না করে বরং অভিযুক্ত মুশতাককে 'অনৈতিক' সাহায্য করতে থাকেন।

পরে মুশতাক তাকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করে এবং তার পরিবারকে ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber protection ordinance: Draft fails to shake off ghosts of the past

The newly approved draft Cyber Protection Ordinance retains many of the clauses of its predecessors that drew flak from across the world for stifling freedom of expression.

9h ago