নানা আয়োজনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনে জাতীয় শোক দিবস পালন

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগীর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রান্তজন’ শীর্ষক আলোচনা সভা। ছবি: সংগৃহীত

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুরে নিজস্ব কার্যালয়ের আলোক মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।

প্রদর্শনী শেষে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগীর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় 'বঙ্গবন্ধু ও প্রান্তজন' শীর্ষক আলোচনা সভা।

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমন্বয়কারী ওয়াসিউর রহমান তন্ময়। তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য, তার গোটা জীবন বিশ্লেষণ করলে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। পাহাড়সম প্রতিকূলতার মধ্যে দাঁড়িয়েও তিনি গরিব-দুঃখী ও শ্রমজীবী মানুষের কথা বলেছেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ তথা তার সোনার বাংলা গড়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন ও অধিকারের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তার কর্ম, নীতি, আদর্শ ও দর্শন বেঁচে থাকবে অনন্তকাল। তার উন্নয়ন দর্শনকে ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি।'

উপস্থাপিত প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের শোয়েব সাজ্জাদ খান, রাফেজা শাহীন, নাজরানা ইয়াসমিন হীরা, মো. জিয়াউল করিম, মো. সাজ্জাদ হোসেন ও মো. আনোয়ার হোসেন।

তারা সকলেই বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের নানা দিক তুলে বলেন, শোষণহীন সমাজ গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু এক সুদীর্ঘ সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সবসময় শোষণের বিরুদ্ধে, বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, রুখে দাঁড়িয়েছেন শোষকদের বিরুদ্ধে। শোষণকে তিনি দেখেছেন বঞ্চনার একটি শক্তিশালী খুঁটি হিসেবে, সাম্যের পরিপন্থী হিসেবে এবং মানবাধিকারের সঙ্গে সংগতিহীন হিসেবে।

সভায় বঙ্গবন্ধুর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' থেকে অংশবিশেষ পাঠ করেন মোহাম্মদ জাহেদ হাসান এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করেন মো. আহসানুল ওয়াহেদ, ইফতেখার হোসেন শুভ্র ও মঞ্জুরুল আলম।

এ ছাড়া, আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন সোমা দত্ত, মিহির রঞ্জন সাহা, মো. রোকনুজ্জামান, নাসরিন আহমেদ ও মমতাজুল ইসলাম।

সমাপনী বক্তব্যে বনশ্রী মিত্র নিয়োগী বলেন, 'বঙ্গবন্ধু সাগরের সমান বিশাল। তাকে নিয়ে এক দিনের আলোচনা যথেষ্ট নয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও জানার, তাকে বিশ্লেষণ করার সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত হওয়া উচিত।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রান্তজন অর্থাৎ সমাজে যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে ভাবনা, তাদের জন্য নানামুখী কর্মসূচি, তা আমাদেরও প্রতিটি কাজে প্রতিফলিত হওয়া উচিত যেন সমাজে সাম্য নিশ্চিত হয়। তিনি সবসময় সাম্যের কথা বলেছেন। তার কথা, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের পৌঁছে দিতে হবে পরের প্রজন্মের কাছে।'

দিবসটি উপলক্ষে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কর্মীদের সন্তানদের আঁকা 'বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ' বিষয়ক ছবি নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সকল কর্মী এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

12h ago