আদালতে আগুন সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ আনবেন না: হাইকোর্ট
হাইকোর্টে আগুন সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ উত্থাপন না করতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হাইকোর্ট। এ প্রসঙ্গে আদালত বলেছেন, এটি এমন একটি বিষয় যা আদালতের বাইরের।
২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম তাণ্ডবের পর শাহবাগ থানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর জামিন আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এ কথা বলেন।
আদালত বলেন, এই আদালত দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য। এই ইস্যুটি (আগুন সন্ত্রাস) এই আদালতের সামনে আনবেন না এবং এর পরিবেশের ক্ষতি করবেন না।
আসলামের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী আদালতকে বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগুন সন্ত্রাস আবার ফিরে এসেছে। তিন বলেন, হাইকোর্ট এর আগে একই ধরনের মামলায় আসলাম চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন, কিন্তু আপিল বিভাগ জামিনের সেই আদেশ স্থগিত করেছেন।
তার এই বক্তব্যের পর আদালত আগুন সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ আদালতে না তোলার কথা বলেন।
আদালত জামিনের আবেদন দুই মাসের জন্য স্থগিত (শুনানির জন্য অপেক্ষা) রাখেন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-উর রশিদকে এই সময়ের মধ্যে নিম্ন আদালতে চার্জশিট দাখিল করার নির্দেশ দেন।
আগের দিন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির হাইকোর্টকে বলেন, আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের জন্য ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।
এই মামলায় অনেক আসামি রয়েছে তাই মামলার তদন্ত শেষ করতে আরও সময় প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
হাইকোর্ট তাকে (মুনীর) বলেন, কেউ ইসরায়েল বা আমেরিকায় গেছে কিনা এই আদালত দেখবে না।
আসলামের আইনজীবী মুহাম্মদ মাসুদ-উল-হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তার মক্কেল মোট ৩৯টি মামলার আসামি এবং শাহবাগ থানায় দায়ের করা এই মামলাটি ছাড়া ৩৮টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। কুমিল্লা কারাগারে থাকা আসলাম চৌধুরীকে ২০২১ সালের অক্টোবরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এই মামলায় আসলামকে কেন জামিন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে গত বছরের ৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ একটি রুল জারি করেন।
ইসরায়েলের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ ওঠার পর ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ১১ দিন পর তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করা হয়।
Comments