লাবুশেনের সেঞ্চুরির পর শেষ দিনের রোমাঞ্চের অপেক্ষা

ইংল্যান্ডের পেসারদের হতাশ করে দারুণ সেঞ্চুরি তোলেন অস্ট্রেলিয়ার মারনাস লাবুশেন। ছবি: এএফপি

দিনের দুটি সেশন ভেসে গেল বৃষ্টিতে। বিরূপ আবহাওয়ার মাঝে কেবল একটি সেশনে দেখা মিলল ব্যাট-বলের লড়াইয়ের। সেখানে ইংল্যান্ডের পেসারদের হতাশ করে দারুণ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার মারনাস লাবুশেন। জো রুটের শিকার হয়ে তিনি বিদায় নিলেও ক্রিজে টিকে আছেন মিচেল মার্শ। সব মিলিয়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টকে ঘিরে এখন শেষ দিনের রোমাঞ্চের অপেক্ষা।

শনিবার অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টের চতুর্থ দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৩০ ওভার। অজিরা তুলেছে ১০১ রান। ইংলিশরা নিতে পেরেছে ১ উইকেট। দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২১৪ রান। আগের দিনের ৪ উইকেটে ১১৩ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল তারা। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের চেয়ে এখনও ৬১ রানে পিছিয়ে আছে দলটি।

তৃতীয় দিন শেষে ১ রানে অপরাজিত থাকা মার্শ ক্রিজে রয়েছেন ৩১ রানে। ১০৭ বল মোকাবিলায় ৪টি চার মেরেছেন তিনি। তার সঙ্গী ক্যামেরন গ্রিন ১৫ বলে ৩ রানে খেলছেন। ডানহাতি তারকা ব্যাটার লাবুশেন আউট হয়েছেন ১১১ রানে। ১৭৩ বল খেলে তার ব্যাট থেকে আসে ১০টি চার ও ২টি ছক্কা। আগের দিনের অপরাজিত ৪৪ রান নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে মার্শের সঙ্গে ১৮৭ বলে ১০৩ রানের জুটি গড়েন লাবুশেন।

দিনের সকাল থেকে ঝরতে থাকা বৃষ্টির কারণে প্রথম সেশনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। প্রায় পৌনে চার ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়। এদিন অবশ্য আগের মতো দাপট দেখাতে পারেননি স্বাগতিক পেসাররা। ফলে বেশ সহজে রান তুলতে থাকেন লাবুশেন। মার্শ ব্যাটিংয়ে রাখেন ধৈর্যের ছাপ। জমে ওঠে তাদের জুটি। ৯৯ বলে ফিফটিতে পৌঁছান লাবুশেন।

মাঠে আলোক স্বল্পতার কারণে দ্বিতীয় ঘণ্টার চতুর্থ ওভার থেকেই স্পিন ব্যবহার করতে হয় ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসকে। রুট আক্রমণে যেতেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন লাবুশেন। অনিয়মিত স্পিনারের প্রথম ওভারেই ছক্কা মারেন তিনি। রুট আক্রমণে ফিরলে টানা ছক্কা ও চার হাঁকান তিনি। এরপর মঈন আলির বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন লাবুশেন। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি। দেশের বাইরে দ্বিতীয় ও ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি।

তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লাবুশেন। রুটের বলেই কুপোকাত হন তিনি। কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর গ্লাভসবন্দি হন। আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হয় ইংল্যান্ড। চার বল পরেই মার্শকে সাজঘরে পাঠানোর সম্ভাবনা জাগান রুট। শর্ট লেগে ক্যাচ নিতে পারেননি হ্যারি ব্রুক। তবে ক্যাচটি হাতে জমানো ছিল প্রায় অসম্ভবেরই পর্যায়ে।

মঈনের করা দ্বিতীয় সেশনের শেষ বলে গ্রিনের বিপক্ষে ক্যাচের আবেদন জানায় ইংলিশরা। কিন্তু আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ার পর রিভিউ নিয়েও ব্যর্থ হয় তারা। এরপর বৃষ্টির বাগড়ায় তৃতীয় সেশনের খেলাও ভেস্তে যায়।

ম্যাচের জয়ের পাল্লা ইংল্যান্ডের দিকে হেলে থাকলেও যে কোনো ফলই আসতে পারে শেষ দিনে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, বৃষ্টির জোরালো শঙ্কা রয়েছে আগামীকাল রোববারও। ইংলিশরা জিততে না পারলে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া টানা চতুর্থবারের মতো ধরে রাখবে অ্যাশেজ। গতবার অজিরা নিজেদের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জিতেছিল ৪-০ ব্যবধানে।

Comments

The Daily Star  | English

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

36m ago