প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অবসরের সিদ্ধান্ত পাল্টালেন তামিম

তামিম ইকবালকে যখন গণভবনে ডাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফিরে আসার গুঞ্জন শুরু হয় তখন থেকেই। দেশনেত্রীর অনুরোধ আদৌ কি ফিরিয়ে দিতে পারবেন তিনি? শেষ পর্যন্ত পারেনওনি। তাই অবসরের ঘোষণার এক দিন পরই আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক। তবে আপাতত কিছু দিন বিশ্রামে থাকবেন তিনি।

শুক্রবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে গণভবনে যান তামিম। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রীও। মূলত সাবেক জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে যোগাযোগ করেই তামিমকে ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী। পরে সেখানে যোগ দেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনও। সেখানে আলোচনা শেষে নিজের নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানান তামিম।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের হারের পর আগের দিন বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। এরপর শুক্রবার সকালেই ঢাকা ফিরে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণের খবর পান তিনি। সাবেক সতীর্থ ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাশরাফির মাধ্যমেই যোগাযোগ হয় দুই পক্ষের মধ্যে। আলোচনা হয় প্রায় দুই ঘণ্টার মতো।

আলোচনার পর সংবাদমাধ্যমকে তামিম বলেন, 'দুপুরবেলায় আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বাসায় দাওয়াত করেছিলেন। উনার সঙ্গে অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খেলায় ফিরে আসতে। আমি আমার অবসর এই মুহূর্তে তুলে নিচ্ছি। কারণ আমি সবাইকে না বলতে পারি কিন্তু দেশের যে সবচেয়ে বড় ব্যক্তি তাকে না বলা আমার পক্ষে অসম্ভব।'

ফিরে আসার পেছনে বিসিবি প্রেসিডেন্ট ও মাশরাফির বড় ভূমিকা ছিল বলেও জানান তামিম, '(ফিরে আসার ব্যাপারে) অবশ্যই পাপন ভাই ও মাশরাফি ভাইয়ের বড় ভূমিকা ছিল। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে নিয়েছেন। পাপন ভাই সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এক মাসের জন্য একটা ছুটিও দিয়েছেন। আমি যেন মানসিকভাবে আরেকটু ফ্রি হতে পারি।'

তামিমের পর সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন বিসিবি প্রেসিডেন্টও। মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট হতে ওয়ানডে অধিনায়কের কিছু দিন সময় লাগবে বলে জানান পাপন। একই সঙ্গে তামিম তার অবসরের যে চিঠি বিসিবিকে দিয়েছেন সেটা প্রত্যাহার করেছেন বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Mob violence now alarmingly routine

Rights groups say the state's failure to act swiftly and decisively has to some extent emboldened mobs and contributed to a climate where vigilante justice is becoming commonplace.

8h ago