সাড়ে ৩৬ হাজার টন কয়লা নিয়ে পায়রায় দ্বিতীয় জাহাজ

এমভি পাভো ব্রেভ কয়লা নিয়ে দেশে পৌঁছেছে। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩৬ হাজার ৫৭০ টন কয়লা নিয়ে পায়রা বন্দরে এসেছে আরও একটি জাহাজ।

পায়রা বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আজিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ইন্দোনেশিয়ার বালিকপানান বন্দর থেকে এমভি পাভো ব্রেভ নামে ওই জাহাজটি আজ রোববার সকালে পায়রা বন্দরের আউটারেজে পৌঁছায়।

তিনি বলেন, 'পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি বর্তমানে ইনার অ্যাংকোরেজে নিয়ে আসা হচ্ছে। কয়লা সংকটে ২০ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হওয়া পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা দ্বিতীয় জাহাজ এটি। জাহাজটি ইনার অ্যাংকোরেজে পৌঁছানোর পরই লাইটারের মাধ্যমে কয়লা খালাস কার্যক্রম শুরু হতে পারে।'

এর আগে গত ২২ জুন ৪১ হাজার ২০৭ টন কয়লা নিয়ে এমভি অ্যাথেনা নামে আরও একটি জাহাজ বন্দরে আসে। ওই কয়লা দিয়ে ২৫ জুন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুনরায় উৎপাদনে যায়।

গত ৫ জুন থেকে কয়লা সংকটের কারণে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানির (বিসিপিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, 'জুলাইয়ের মধ্যে আরও ৭ থেকে ৮টি জাহাজ কয়লা নিয়ে আসার কথা রয়েছে এবং এখন থেকে কয়লার জাহাজ নিয়মিত আসতে থাকবে। তাই এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখা নিয়ে আপাতত কোনো আশঙ্কা নেই।

তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট চালুর হতে আরও সময় লাগবে। কয়লার মজুদ সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছলে ২টি ইউনিটই চালু হবে। ২ ইউনিট চালু হলে এই কেন্দ্র থেকে পূর্ণ সক্ষমতায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।'

বিসিপিসি সূত্রে জানা গেছে, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দেয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির চীনা অংশীদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি)। ডলার সংকট দেখা দেওয়ায় গত ৬ মাস ধরে কোনো বিল পরিশোধ করতে না পারায় মে পর্যন্ত তাদের বকেয়া দাঁড়ায় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি ওই বকেয়ার ১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের ব্যবস্থা করা হলে সিএমসি কয়লা পাঠাতে রাজি হয়। এরই অংশ হিসেবে কেন্দ্রটির জন্য কয়লা বোঝাই জাহাজ পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আসছে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago