ইংল্যান্ডের ইনিংসে ধস নামানোর পর লিড বাড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
মিচেল স্টার্ক-ট্রাভিস হেডদের তোপে মাত্র ৪৬ রানে শেষ ৬ উইকেট হারাল ইংল্যান্ড। তাতে পাওয়া ৯১ রানের লিড বাড়িয়ে চালকের আসন শক্তপোক্ত করল অস্ট্রেলিয়া। তাদের হয়ে আরও একবার নজর কাড়লেন ফর্মের চূড়ায় থাকা ওপেনার উসমান খাওয়াজা।
শুক্রবার লর্ডসে অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় দিন শেষে ২২১ রানে এগিয়ে আছে অজিরা। তাদের হাতে রয়েছে আরও ৮ উইকেট। ক্রিজে আছেন খাওয়াজা ১২৩ বলে ১০ চারে ৫৮ ও স্টিভেন স্মিথ ২৪ বলে ৬ রানে।
এদিন সব মিলিয়ে খেলা হয়েছে ৬১ ওভার। তৃতীয় সেশনের মাঝামাঝি সময় নামে বৃষ্টি। ৩০ মিনিটের মতো অপেক্ষার পর দিনের খেলার ইতি টানেন আম্পায়াররা। প্রথম সেশনেই ইংলিশদের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ৩২৫ রানে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৩০ রান। প্রথম ইনিংসে তারা তুলেছিল ৪১৬ রান।
আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে খেলতে নামে স্বাগতিকরা। তাদের ইনিংস টেকে আর মাত্র ১৫.২ ওভার। প্রথম আঘাতটা করেন বাঁহাতি অজি পেসার স্টার্ক। দিনের দ্বিতীয় বলেই তিনি ফেরান বেন স্টোকসকে। আগের দিনের ১৭ রানের সঙ্গে আর কিছু যোগ করতে পারেননি ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। তৃতীয় স্লিপে ক্যামেরন গ্রিনের তালুবন্দি হন তিনি।
ফিফটি ছোঁয়ার পরপরই বিদায় নেন ৪৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা হ্যারি ব্রুক। স্টার্কের শর্ট বলে পরাস্ত হয়ে প্যাট কামিন্সকে ক্যাচ দেন তিনি। ৬৮ বলে ৪ চারে তার সংগ্রহ ঠিক ৫০ রান। জনি বেয়ারস্টো পাঁচ ওভার পর জশ হ্যাজেলউডের শিকার হলে অস্ট্রেলিয়ার লিড পাওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে পড়ে।
দ্বিতীয় দিনে অফ স্পিনার ন্যাথান লায়ন চোট পাওয়ায় হেডকে বেশ কয়েক ওভার হাত ঘোরাতে হয়। তিনি একই ওভারে সাজঘরে পাঠান অলি রবিনসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে ঠিকঠাক টাইমিং করতে না পারা রবিনসন হন উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারির গ্লাভসবন্দি। ব্রড পড়েন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। তিনি রিভিউ নিলেও সিদ্ধান্তে আসেনি বদল। হক আইয়ে দেখা যায় যে বল গিয়ে আঘাত করত লেগ স্টাম্পে।
এরপর জশ টাংকে ঝুলিতে পুরে ইংল্যান্ডকে অলআউট করে দেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কামিন্স। স্টার্ক ৩ উইকেট নেন ৮৮ রানে। ২ উইকেট নিতে অনিয়মিত স্পিনার হেড ও ডানহাতি পেসার হ্যাজেলউডের খরচা যথাক্রমে ১৭ ও ৭১ রান।
দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয়েছে দারুণ। উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ৬৩ রান যোগ করার পর দ্বিতীয় উইকেটে মারনাস লাবুশেনের সঙ্গে ৬০ রান আনেন খাওয়াজা। তার দুই সঙ্গীই থিতু হয়ে মাঠ ছাড়েন। ৭৬ বলে ৩৫ রান করা ওয়ার্নারকে এলবিডব্লিউ করেন টাং। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি ওয়ার্নার। জেমস অ্যান্ডারসনের শিকার হওয়া লাবুশেনের ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৩০ রান।
খাওয়াজাকে ফেরানোর সুযোগ অবশ্য পেয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু টাংয়ের বলে তার তোলা ক্যাচ হাতে জমাতে ব্যর্থ হন অভিজ্ঞ পেসার অ্যান্ডারসন। উল্টো বল সীমানা পেরিয়ে হয়ে যায় চার। সেসময় ১৯ রানে ব্যাট করছিলেন বাঁহাতি খাওয়াজা।
Comments