ভালুকায় চলন্ত বাসে ধর্ষণ চেষ্টা, রাস্তায় লাফিয়ে পড়া নারীর মৃত্যু
ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ষণ চেষ্টা থেকে বাঁচতে চলন্ত বাস থেকে রাস্তায় লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত নারী গার্মেন্টস কর্মী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে মারা গেছেন।
আজ রোববার সকালে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত গার্মেন্টস কর্মীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায়। তিনি ভালুকার মল্লিকবাড়ি নয়নপুরে ভাড়া বাড়িতে বাস করতেন।
মমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. জাকিউল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত ওই নারীকে শনিবার ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই আজ সকাল ১১টায় তিনি মারা যান।'
মমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক কামাল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই নারীর মাথার আঘাত খুবই গুরুতর ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে।'
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মাওনা থেকে গার্মেন্টস কর্মী বাসে করে ভালুকা ফিরছিলেন। সীডস্টোর এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার তাকে ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধর করেন। পরে ওই নারী বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে মাথায় আঘাত পান।'
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার ভোরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সংবাদ পেয়ে ভালুকা থানার একটি টহল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটির চালক রাকিব মিয়া (২১), হেলপার আরিফ মিয়া (২০) এবং সুপারভাইজার আনন্দ দাসকে আটক করে।
ওই নারীর ভাই গতকাল ভালুকা থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
ওসি জানান, আসামিদের আজ বিকেলে ময়মনসিংহের একটি আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। তবে আজ আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়নি। তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
ওই নারীর ছেলে ডেইলি স্টারকে জানায়, তারা দুই ভাই। সে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়ে। ছোট ভাই কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের পড়ার খরচ চালাতে মা ১০ বছর ধরে গার্মেন্টসে চাকরি করছিলেন।
মায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায় সে।
Comments