মতলবে যুবলীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর গ্রেপ্তার

মতলব উত্তর উপজেলায় মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী মোবারক হোসেন (৪৮) নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলার ১ নম্বর আসামি মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার দুপুরে মোহনপুরের বাড়ি থেকে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে মিজানুরের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শনিবার রাতেই ৩১ জনকে আসামি করে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় মিজানুরকে ১ নম্বর আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত পুলিশ মিজানুরসহ মামলার ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য আসামিরা হলেন- মুসা গাজী, জুয়েল কবিরাজ, সাবিয়া বেগম, আনোয়ার শেখ, মোশারফ মির্জা ও শাকিলা বেগম। তাদের সবার বাড়ি মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে সমাবেশের আয়োজন করেছিল মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

নিহত মোবারকের ভাই আমির হোসেন ওরফে কালু বেপারী বলেন, সমাবেশে যোগ দিতে তার ভাই যুবলীগ নেতা মোবারকসহ একদল কর্মী সমর্থক মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ মোহনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মিজানের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। ২ পক্ষের মারামারিতে মোবারক, তার ছেলে ইমরানসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন। তাদেরকে মতলব উত্তর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে মোবারককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

বিকেলে নিহত মোবারক হোসেনকে দেখতে হাসপাতালে যান মায়া চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'এ হামলায় জড়িত কাজী মিজানের লোকজন। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার হবে। কাজী মিজান রাজাকার পরিবারের লোক।'

এ ব্যাপারে কাজী মিজানুর রহমান তখন বলেন, 'যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে আমার কোনো লোক ছিল না। ঘটনাটি আমার এলাকা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ওপারে চরে ঘটেছে। পরে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ওই এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজ্জাক প্রধানের সঙ্গে তারই প্রতিপক্ষ আলমগীর হোসেন এবং আমির হোসেন ওরফে কালুর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এই ঘটনা ঘটার পেছনে মায়ার (মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া) লোকজনের হাত রয়েছে বলে আমার ধারণা। কারণ মায়া চৌধুরী ইউপি নির্বাচনের শুরু থেকে লোকজন লাগিয়ে আমার সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করেই যাচ্ছেন। লাশ ফেলবেন বলেও মায়া ও তার ছেলে দীপু চৌধুরী প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

7h ago