চীনে ৩০ বছরে কম সংখ্যক বিয়ে

চীনে বিয়ে কমছে
চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুঝু শহরে বিয়ের ছবি তোলা হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

চীনের সরকারি হিসাবে দেখা গেছে গত বছর দেশটিতে বিয়ের সংখ্যা রেকর্ড সংখ্যক কমেছে।

দেশটিতে ক্রমাগত হারে জনসংখ্যা কমে যাওয়ার সংবাদের প্রেক্ষাপটে এই তথ্যটি নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।

গতকাল সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

গত শুক্রবার চীনের মিনিস্ট্রি অব সিভিল অ্যাফেয়ার্সের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে চীনে ৬০ লাখ ৮৩ হাজার যুগল বিয়ে করেছে। গত বছরের তুলনায় এটি সাড়ে ১০ শতাংশ কম।

২০২১ সালে বিয়ের সংখ্যা ছিল ৭০ লাখ ৬৩ হাজার।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের হিসাবে, ১৯৮৬ সালের পর দেশটিতে গত বছর সবচেয়ে কম বিয়ে হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে চীনজুড়ে লকডাউন থাকায় ও দৈনন্দিন জীবনযাপনে সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বিয়ের সংখ্যা কম হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, তবে ২০১৩ সালের পর থেকে চীনে বিয়ের সংখ্যা ক্রমাগত কমছে। সে বছর ১ কোটি ৩০ লাখ যুগল বিয়ে করেছিল।

ক্রমাগত বিয়ে ও সন্তান জন্মের হার কমতে থাকায় চীন সরকার উদ্বিগ্ন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

দেশটিতে একদিকে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে অন্যদিকে তরুণ কর্মী সংখ্যা কমছে।

২০২২ সালে চীনের জনসংখ্যা ৬০ বছরের মধ্যে প্রথম কমতে শুরু করে। সে বছর প্রতি হাজারে শিশু জন্মের হার ছিল ৬ দশমিক ৭৭ জন।

১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্ট সরকার আসার পর এটিই ছিল সর্বনিম্ন জন্মহার।

জাতিসংঘের হিসাবে, ১৪০ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ। প্রথম অবস্থানে আছে ভারত।

চীনের কর্মকর্তারা মনে করছেন, দেশটিতে বিয়ের সংখ্যা কমে যাওয়ায় শিশু জন্মের হার কমেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, চীনে বেকারত্বের হার ও জীবনাযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় তরুণরা বিয়েতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশটিতে লিঙ্গবৈষম্য থাকায় নারীদের মধ্যে বিয়ে নিয়ে হতাশা বাড়ছে।

বিশ্লেষক হি ইয়াফুর বরাত দিয়ে গতকাল রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের তরুণের সংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেককে বেশি বয়সে বিয়ে করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও, দেশটিতে ছেলে-মেয়ের সমানুপাতিক হার না থাকায় বিয়ের সংখ্যা কমছে।

এক দশক আগেও যেখানে বিয়ের গড় বয়স ছিল প্রায় ২৪ বছর সেখানে গত বছর তা দাঁড়িয়েছে ২৮ বছরে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীনের কর্মকর্তারা দেশটিতে বিয়ে ও জনসংখ্যার হার বাড়াতে আর্থিক সুবিধা দেওয়াসহ বেশকিছু উদ্যোগ নিলেও এখন পর্যন্ত এর সুফল পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English
BNP's stance on president removal in Bangladesh

BNP for polls roadmap in 2 to 3 months

Unless the interim government issues a roadmap to the next election in two to three months, the BNP may take to the streets in March or April next year, say top leaders of the party.

6h ago