উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

মাঠে না নেমেও সিটির আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার আলভারেজের ইতিহাস

ছবি: এএফপি

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মাঠে নামা হয়নি হুলিয়ান আলভারেজের। বেঞ্চেই বসে থাকতে হয় তরুণ আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারকে। তবে ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিলেন তিনি।

শনিবার রাতে ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের ফাইনালে আলভারেজকে কাজে লাগাতে হয়নি সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার। তাকে ছাড়াই তুরস্কের ইস্তানবুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে সিটিজেনরা হারায় ইন্টার মিলানকে। এতে প্রথমবারের মতো পরম আরাধ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার স্বাদ নেয় ইংলিশ ক্লাবটি।

এই জয়ে ২০২২-২৩ মৌসুমে 'ট্রেবল'ও পূর্ণ করেছে ম্যান সিটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পাশাপাশি তারা জিতেছে প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ। এই তিনটি শিরোপা উঁচিয়ে ধরার আগে আলভারেজ পান বিশ্বকাপের মধুর স্বাদও। গত বছরের ডিসেম্বরে কাতারের মাটিতে ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তেদের তৃতীয়বারের মতো বিশ্বসেরা হওয়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন আলভারেজ। সেমিফাইনালে জোড়া গোলসহ তার পা থেকে আসে চারটি গোল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার মাধ্যমে অনন্য উচ্চতায় উঠে গেছেন আলভারেজ। একই মৌসুমে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ঘরোয়া লিগ ও ঘরোয়া কাপ জেতা প্রথম ফুটবলার তিনি। তার আগে আরও নয় ফুটবলার একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। কিন্তু এই দুই শিরোপার পাশাপাশি ঘরোয়া দুটি শিরোপাও জেতার কীর্তি কারও নেই।

১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, সেপ মায়ার, জার্ড মুলার, পল ব্রেইটনার, উলি হোনেস ও ইয়ুপ কাপেলমান জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ এবং বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বুন্দেসলিগা ও ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতেছিলেন। কিন্তু জার্মান কাপের সেমিফাইনালে পরাস্ত হয়েছিল বায়ার্ন।

ফ্রান্সের ক্রিস্তিয়ান কারেম্বু ১৯৯৮ সালে, ব্রাজিলের রবার্তো কার্লোস ২০০২ সালে ও ফ্রান্সের রাফায়েল ভারান ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ জেতেন। উল্লিখিত বছরগুলোতে তাদের প্রত্যেকে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগও ছুঁয়ে দেখার অভিজ্ঞতা পান। কিন্তু কোনোবারই রিয়াল স্প্যানিশ লা লিগা বা কোপা দেল রে জিততে পারেনি।

আর্লিং হালান্ডের পেছনে থেকে ম্যান সিটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে মৌসুম শেষ করেছেন আলভারেজ। অথচ নিয়মিত শুরুর একাদশে খেলার সুযোগ মেলেনি তার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৯ ম্যাচে ১৭ গোল পেয়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০ ম্যাচ খেলে লক্ষ্যভেদ করেছেন তিনবার।

Comments