খুলনা সিটি নির্বাচন

মধ্যরাত থেকে প্রচারণা বন্ধ, যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

Khulna Map
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর একদিন বাকি। আগামী ১২ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আজ শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। তাই শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আছেন তালুকদার আবদুল খালেক। তিনি খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য বিদায়ী মেয়র। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে আছেন শফিকুল ইসলাম। তিনি খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল সকাল ও জাকের পার্টির প্রার্থী এসএম সাব্বির হোসেন। আর একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন এসএম শফিকুর রহমান। তিনি গতবার জাতীয় পার্টির হয়ে নির্বাচন করেছিলেন।

শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরাও।

যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে আগের ও পরের দিন বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মধ্যরাত থেকে ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। আর ১১ জুন মধ্যরাত থেকে ১২ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ গাড়ি, পিক আপ, প্রাইভেট কার ও ইজিবাইক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। 
তবে, অনুমতি সাপেক্ষে প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যটকের ক্ষেত্রে ওই আইন শিথিল করা হয়েছে। এর বাইরে জরুরি সেবা কাজের সঙ্গে যুক্ত যেমন: অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের ক্ষেত্রে ওই নিষেধাজ্ঞার প্রযোজ্য হবে না বলে নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, এবার খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সিটি করপোরেশনের মধ্যে ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। মোট ২৮৯ ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটকেন্দ্র সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য মোট ২ হাজার ৩১০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

4h ago