আমি আসলে ওভাবে চিন্তিত নই: লিটন

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

২০২২ সালটা স্বপ্নের মতো কাটে লিটন দাসের। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি– তিন সংস্করণেই তিনি আলো ছড়ান। সেই তুলনায় চলতি বছরে তার ব্যাট কিছুটা কম হাসছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের আর পাঁচ মাসও বাকি না থাকায় লিটনের ছন্দের পড়তি শঙ্কাজনক। তবে এই ডানহাতি ব্যাটার দিলেন নিজেকে নিয়ে নির্ভার থাকার বার্তা।

রোববার বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) ক্রীড়াক্ষেত্রের ২০২২ সালের সেরাদের পুরস্কৃত করেছে। তারকা ক্রিকেটার লিটন নির্বাচিত হয়েছেন বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ। বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতেছেন তিনি।

রাজধানীর একটি হোটেলে বিএসপিএ'র আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে গত বছরের শীর্ষ সম্মাননা পেয়ে লিটন বলেছেন, 'ভালো লাগছে। যদি এরকম নিয়মিত পাই বা যারা ভালো পারফর্ম করবে তারা পায়, তারা ভালো করতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।'

গত বছর টেস্টে লিটনের গড় ছিল ৪৪.৪৪, ওয়ানডেতে ৫২.৪৫ ও টি-টোয়েন্টিতে ২৮.৬৩। ২০২৩ সালে খেলা একমাত্র টেস্টে তার গড় ৩৩। আর টি-টোয়েন্টিতে (৩৮.১৬) বাড়লেও কমেছে ওয়ানডেতে (২৬.১২)। ভারতের মাটিতে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় ৫০ ওভারের ক্রিকেটের বিশ্বকাপের আগে লিটনের এমন পরিসংখ্যান মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। কারণ, বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। অথচ চলতি বছর খেলা নয় ওয়ানডের মাত্র দুটিতে ফিফটি স্পর্শ করেছেন। শূন্য রানে তিনি আউট হয়েছেন তিনবার।

২৮ বছর বয়সী লিটন অবশ্য চিন্তিত না হয়ে প্রক্রিয়ায় মনোযোগী থাকতে চাইছেন, 'আপনি প্রতিদিন ক্রিকেটে ভালো খেলতে পারবেন না। ভালো খেলবেন, খারাপ খেলবেন। আমি আসলে ওভাবে চিন্তিত নই। শুধু অনুশীলন করব। দেখা যাক, কী হয়।'

আগামী বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবনা জানতে চাওয়া হলে তিনি জবাব দিয়েছেন, 'এখনও দেরি আছে। আগামীকাল হয়তো আমাদের একটা ক্যাম্প শুরু হবে (আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট ম্যাচকে সামনে রেখে)। দেখা যাক, আগে ওটা শুরু করি।'

আগামী ১৪ জুন থেকে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট। দুই দলের সবশেষ সাক্ষাতে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টাইগাররা বাজেভাবে হেরেছিল সফরকারীদের কাছে। এই প্রসঙ্গে লিটন বলেছেন, 'ম্যাচ খেলি জেতার জন্যই। সব সময় জেতার লক্ষ্যই থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Cashless society still a distant dream

Bangladesh’s goal of a cashless future is colliding with failed projects, user mistrust, and an economy that thrives on cash

13h ago