মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন নূরন নবী, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত
যুক্তরাষ্ট্রে ৩২ বছর ধরে নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার আয়োজক সংগঠন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত বুধবার সংগঠনের সাধারণ সভায় ২০২৩-২৪ মেয়াদের জন্য ৩১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে একুশে পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরন নবীকে চেয়ারপারসন এবং বিশ্বজিত সাহাকে সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আগামী ১৪ থেকে ১৭ জুলাই জ্যামাইকার পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে ৪ দিনব্যাপী ৩২তম নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার আয়োজনের দায়িত্বও পালন করবে এই নতুন নেতৃত্ব।
এ বিষয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারপারসন ড. নূরন নবী বলেন, '৩১ বছর ধরে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সর্ববৃহৎ বইমেলার আয়োজন করে আসছে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন। ১৯৯২ সালে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে অস্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে যে সংগঠন, তার নেতৃত্ব দেওয়া সত্যিই গৌরবের।'
এবারের এই বইমেলার আহ্বায়ক ড. আব্দূন নূর বলেন, 'বইমেলায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লেখক ও সাহিত্যিক অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সারির প্রায় ২০টি প্রকাশনী সংস্থা তাদের নতুন প্রকাশিত বই নিয়ে মেলায় উপস্থিত থাকবেন।'
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত সাহা জানান, নবনির্বাচিত কমিটিতে কো-চেয়ারপারসন হিসেবে আছেন সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ, লেখক ও সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস, অর্থনীতিবিদ নজরুল ইসলাম ও নাট্যজন সউদ চৌধুরী। সহসাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন সাংবাদিক ফাহিম রেজা নূর, কোষাধ্যক্ষ সাবিনা হাই উর্বি, প্রকাশনা সম্পাদক আদনান সৈয়দ, প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুরাদ আকাশ।
এ ছাড়া, কার্যকরী কমিটির সদস্য ড. জিনাত নবী, ড. ফাতেমা আহমেদ, কৌশিক আহমেদ, নসরত শাহ, রানু ফেরদৌস, ওবায়দুল্লাহ মামুন, ইউসুফ রেজা, হারুন আলী, তানভীর রাব্বানী, সেমন্তী ওয়াহেদ, শুভ রায়, স্বীকৃতি বড়ুয়া, আশরাফুল হাবিব মিহির, সুস্বনা চৌধুরী এবং চন্দ্রিমা দে।
উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা হলেন নাট্যজন জামাল উদ্দীন হোসেন, ভয়েস অব আমেরিকার খ্যাতনামা সাংবাদিক রোকেয়া হায়দার, সমাজসেবক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, লেখক ফেরদৌস সাজেদীন ও গত নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার আহ্বায়ক গোলাম ফারুক ভুঁইয়া।
Comments