যুক্তরাজ্যে গত বছর ৬ লাখেরও বেশি মানুষের অভিবাসন

যুক্তরাজ্যের হিথরো বিমানবন্দরের মাইগ্রেনশন কন্ট্রোল। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাজ্যের হিথরো বিমানবন্দরের মাইগ্রেনশন কন্ট্রোল। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যে ২০২২ সালে মোট অভিবাসনের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, মোট অভিবাসনের সংখ্যা ৬ লাখ ৬ হাজার।

আজ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এই পরিসংখ্যান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ওপর বাড়তি চাপের সৃষ্টি করেছে, কারণ তিনি এ সংখ্যা কমানোর অঙ্গীকার করেছেন।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশনের পরিচালক জে লিনডপ বলেন, '২০২২ সালজুড়ে বেশ কিছু নজিরবিহীন বৈশ্বিক ঘটনা ও করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ায় রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক অভিবাসী যুক্তরাজ্যে এসেছেন।'

এই সংখ্যা বাড়ার সুনির্দিষ্ট কারণের মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে আসা নাগরিকরা, যাদের অনেকেই যুক্তরাজ্য সরকারের ইউক্রেন ভিসা উদ্যোগের আওতায় এসেছেন। এছাড়াও, কাজ ও শিক্ষার জন্যেও অনেক অভিবাসী এসেছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় (ওএনএস)।

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে অভিবাসনের উচ্চ হার অনেক দিন ধরেই আলোচিত এবং ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট উদ্যোগের পেছনেও এর ভূমিকা রয়েছে।

প্রায় ১ দশকেরও বেশি সময় ধরে কনজারভেটিভ পার্টি অভিবাসীর সংখ্যা কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যে অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২৯ হাজার।

ঋষি সুনাক বৈধ ও অবৈধ, উভয় ধরনের অভিবাসন কমানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। এ সপ্তাহের শুরুতে সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে আনার ওপর বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

No sharp rise in crime, data shows stability: govt

The interim government today said that available data does not fully support claims of a sharp rise in crimes across Bangladesh this year

21m ago