প্লে-অফের তিন দল চূড়ান্ত, বাকিটি বেঙ্গালুরু, রাজস্থান না মুম্বাই?
আইপিএলের ২০২৩ সালের আসরের প্লে-অফ পর্বের তিনটি দল চূড়ান্ত হয়ে গেছে। শিরোপাধারী গুজরাট টাইটান্স সবার আগে নিশ্চিত করেছে লিগ পর্বের বাধা পেরোনো। এরপর তাদের সঙ্গী হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস। এবার লিগ পর্বের শেষদিনে জানা যাবে শেষ দল হিসেবে কারা পাবে প্লে-অফের টিকিট। সেই লড়াইয়ে আছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, রাজস্থান রয়্যালস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
রোববার আইপিএলের প্রথম পর্বের শেষ দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সময় বিকাল চারটায় ওয়াংখেড়েতে আসরের সফলতম দল মুম্বাই মুখোমুখি হবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। এরপর বেঙ্গালুরুতে রাত আটটায় গুজরাটের বিপক্ষে লড়বে স্বাগতিকরা।
আসরের পয়েন্ট তালিকার চারে থাকা ফাফ ডু প্লেসি-বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরুর পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ১৪। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে মুম্বাই। নেট রান রেটে পিছিয়ে আছে রোহিত শর্মার দল। লিগ পর্বের ১৪ ম্যাচের সবকটি খেলে ফেলা রাজস্থানের পয়েন্টও সমান। তারা অবস্থান করছে বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়ের মাঝে পঞ্চম স্থানে। বেঙ্গালুরুর নেট রান রেট +০.১৮০, রাজস্থানের +০.১৪৮ ও মুম্বাইয়ের -০.২৩৯।
বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই তাদের নিজ নিজ ম্যাচে হারলে তিন দলের পয়েন্টই হবে সমান। সেক্ষেত্রে বিবেচনায় আসবে নেট রান রেট। মুম্বাইয়ের নেট রান রেট এখনই ঋণাত্মক হওয়ায় হেরে গেলে তাদের প্লে-অফে খেলার কোনো সুযোগ থাকবে না। ফলে বেঙ্গালুরু বা রাজস্থানের কপাল খুলবে। আর বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই উভয়েই জিতলে তাদের পয়েন্ট বেড়ে হবে সমান ১৬। তখন নেট রান রেটের হিসেবে তাদের মধ্যে একটি দল পাবে প্লে-অফের টিকিট। বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে রাজস্থানের। এছাড়া, বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়ের যে কোনো একটি দল জিতলে তারাই প্লে-অফে উঠবে।
১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান গুজরাটের। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান ১৭ পয়েন্ট করে অর্জন চেন্নাই ও লখনউয়ের। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় দুইয়ে রয়েছে চেন্নাই (+০.৬৫২), তিনে লখনউ (+০.২৮৪)। অর্থাৎ শীর্ষ দুই দল হিসেবে সরাসরি কোয়ালিফায়ার ম্যাচের টিকিট পেয়েছে গুজরাট ও মুম্বাই। তাদের মুখোমুখি লড়াইয়ে যারা জিতবে, তারা উঠে যাবে ফাইনালে। হেরে যাওয়া দল সুযোগ পাবে আরেকটি।
গতকাল শনিবার অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হারায় চেন্নাই। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ২২৩ রান তোলে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। বিশাল সংগ্রহের পেছনে মূল কৃতিত্ব দুই ওপেনারের। রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৫০ বলে ৭৯ রান করেন। ডেভন কনওয়ে খেলেন ৫২ বলে ৮৭ রানের ইনিংস। লক্ষ্য তাড়ায় অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার একাই লড়াই করেন। তার ৫৮ বলে ৮৬ রানের ইনিংস সত্ত্বেও দিল্লি থামে ৯ উইকেটে ১৪৬ রানে। চেন্নাইয়ের হয়ে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন দীপক চাহার।
ইডেন গার্ডেন্সে দিনের আরেক ম্যাচ ছিল রোমাঞ্চে ভরপুর। সেখানে রিঙ্কু সিংয়ের তাণ্ডব ছাপিয়ে ১ রানে জেতে লখনউ। তাদের ৮ উইকেটে ১৭৬ রানের জবাবে কলকাতা নাইট রাইডার্স করতে পারে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান।
জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ৪১ রান দরকার ছিল কলকাতার। নাভিন উল হকের করা ১৯তম ওভারে ৩ চার ও ১ ছক্কাসহ ২০ রান আনেন রিঙ্কু। শার্দুল ঠাকুর শেষ ওভারের শুরুতে আঁটসাঁট থাকলে ৩ বলে চাহিদা দাঁড়ায় ১৮ রানের। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকানোর পর পঞ্চম বলে কেবল চার মারতে পারেন রিঙ্কু। শেষ বলে ফের ছক্কা এলেও তাই সেটা যথেষ্ট হয়নি। ৩৩ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু। এর আগে লখনউ লড়াইয়ের পুঁজি পায় ৩০ বলে ৫৮ রান করা নিকোলাস পুরানের কল্যাণে।
Comments