উদয়ন এক্সপ্রেস

সরানো হলো লাইনচ্যুত ২ বগি, ইঞ্জিন উদ্ধারের কাজ চলছে

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে লাইনচ্যুত উদয়ন এক্সপ্রেসের বগি উদ্ধার চলছে। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

মৌলভীবাজারে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে উদয়ন এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত দুটি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। বিকেল ৫টায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বগি উদ্ধারের পর লাইনচ্যুত ইঞ্জিন উদ্ধারের প্রস্তুতি চলছিল।

ভানুগাছ স্টেশন মাস্টার কবির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রেললাইনে পড়ে থাকা গাছগুলো কেটে সরানো হয়েছে। সিলেট-চট্টগ্রাম এবং সিলেট-ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ আছে।

চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস আজ শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে লাইনচ্যুত হয়। রেললাইনের ওপর ভেঙে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রেনের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রেললাইনের ওপর পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ট্রেন উদ্ধারকাজের প্রত্যক্ষদর্শী সাজু মারছিয়াং বলেন, বগি দুটি সরানোর পর রেললাইন ঠিক করা হচ্ছে যেন ইঞ্জিনটি তুলে লাইনে বসানো যায়।

দুর্ঘটনার ব্যাপারে উদয়ন এক্সপ্রেসের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল রানা জানান, ট্রেনটি ধীরে চলায় বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, বনের ভেতর ঝড়ে ১০ ফুট বেড় ও ৪৫ ফুট লম্বা একটি গাছ রেললাইনের ওপর পড়েছিল। ট্রেনটি গাছে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে, ট্রেনটি লাউয়াছড়ায় ধীরে চলায় আনুপাতিক হারে কম ক্ষতি হয়েছে।

ট্রেনে থাকা যাত্রী রাহাত আহমেদ, সিরাজ মিয়া বলেন, ভোরের দিকে ট্রেনটি বড় আকারে ঝাঁকুনি খায়। এ সময় ট্রেনের যাত্রীদের অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন। সম্বিত ফিরে পেয়ে অনেক যাত্রী আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করতে থাকেন। এতে কয়েকজন সামান্য আঘাত পান। তবে বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। 
তারা আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের যাত্রীরা নিজেদের উদ্যোগে যে-যেভাবে পেরেছেন শ্রীমঙ্গল ও ভানুগাছ স্টেশনে হয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যান। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

কুলাউড়া রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী আনিছুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তা খায়রুল কবিরের নেতৃত্বে এই কমিটিতে আরও আছেন বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোক), বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) ও বিভাগীয় প্রকৌশলী (ঢাকা-২) ও বিভাগীয় প্রকৌশলী (সংকেত ও টেলিযোগাযোগ) সদস্য করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

6h ago