নায়ক ফারুকের শোকে থমথমে এফডিসি
চিত্রনায়ক ফারুককে আজ মঙ্গলবার শেষবারের মতো নিয়ে আসা হয় এফডিসিতে। আকবর হোসেন পাঠান থেকে এখানেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন রুপালি পর্দার নায়ক মিয়াভাই।
ঘড়িতে তখন দুপুর ১টা বেজে ১০ মিনিট। নায়ক ফারুকের মরদেহ এফডিসিতে নিয়ে আসা হলো। তাকে একনজর দেখতে শ্রদ্ধা জানাতে ভালোবাসার জন্য এসেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অসংখ্য মানুষ।
ছিলেন নায়ক ফারুকের পরিবারের সদস্যরা। ছিলেন অভিনেত্রী সুজাতা, আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, নাঈম, সুচন্দা, রোজিনা, অঞ্জনা, মিশা সওদাগর, নিপুণ, ফেরদৌস, ওমর সানী, বাপ্পী, পরিচালক কাজী হায়াৎ, শাহীন সুমন, এস এ হক অলিক, অনিমেষ আইচ, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেকেই।
এছাড়া চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এফডিসিতে নায়ক ফারুকের জানাজা সম্পন্ন হয় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চ্যানেল আই ভবনে। সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন শাকিব খান, ফেরদৌস, আফসানা মিমি, মিশা সওদাগরসহ অনেকেই। এখানে আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয় দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে।
সেখান থেকে 'মিয়া ভাইকে' নেওয়া হয় গুলশান আজাদ মসজিদে। সেখানে বিকেলে আরেক দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সন্ধ্যা ৭টায় তাকে গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জে নেওয়া হবে। সেখানে দখিন সোম টিওরী জামে মসজিদে জানাজা শেষে পাঠান বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে চিত্রনায়ক ফারুককে।
আজ সকাল ১১টায় নায়ক ফারুকের মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানান। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে তার স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বড় পর্দায় নায়ক ফারুকের অভিষেক এইচ আকবর পরিচালিত 'জলছবি' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়।
ফারুক অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে আছে 'সারেং বৌ', 'লাঠিয়াল', 'সুজন সখী', 'নয়নমণি', 'মিয়া ভাই', 'গোলাপী এখন ট্রেনে', 'সাহেব', 'আবার তোরা মানুষ হ', 'আলোর মিছিল', 'দিন যায় কথা থাকে', 'সখী তুমি কার', 'কথা দিলাম' ও 'সূর্য গ্রহণ' ইত্যাদি।
Comments