চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপগামী নৌযান বন্ধ, আশ্রয়কেন্দ্রে ২৯,৮৮৫ জন

১৬২টি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ২৯ হাজার ৮৮৫ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার তোলা ছবি

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রাম থেকে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপগামী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

একই সঙ্গে সন্দ্বীপ উপজেলায় ১৬২টি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ২৯ হাজার ৮৮৫ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। 

সন্দ্বীপের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার ও পানি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। 

সন্দ্বীপের ইউএনও সম্রাট খীসার তথ্যমতে, মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুগুলোও নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইউএনও-এর তত্ত্বাবধানে রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপির ভলান্টিয়াররা দুর্যোগ মোকাবিলায় মাঠে আছেন। 

সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশ, সারিকাইত ইউনিয়নের দক্ষিণ ও মাইটভাঙ্গা, মুছাপুর, আজিমপুর, রহমতপুর ইউনিয়নের পশ্চিমাংশ ঝুকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়। জোয়ার বেশি হলে এসব এলাকার নিচু অংশ পানির নিচে তলিয়ে যায়।

কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, ১২ তারিখ থেকেই সন্দীপগামী যাত্রীবাহী স্পিডবোট ও নৌকা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। আমরা ঘাটে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছি।
 
আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। 

ঝড়টি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের কাছ দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

4h ago