রাঙ্গামাটি

পাহাড়ের ঢাল থেকে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড়ের ঢালে ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকজনকে কাছের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।

সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূল দিয়ে রোববার অতিক্রম করতে পারে। আজ মধ্যরাত থেকেই চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হতে পারে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাঙামাটি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ২৯টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ২২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। একইসাথে উপজেলা পর্যায়েও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখতে বলা হয়েছে।

শনিবার এক জরুরি গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটিসহ সব ধরনের ছুটি বাতিল করার কথা জানানো হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ডেপুটি কালেক্টর ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ধস ও দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার ব্যাপারে কন্ট্রোল রুম থেকে তদারকি করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

6h ago