স্বাস্থ্য খাতে শীর্ষ থেকে নিচ পর্যন্ত দুর্নীতি: হাইকোর্ট

তত্ত্বাবধায়ক সরকার
স্টার ফাইল ফটো

স্বাস্থ্য খাতে শীর্ষ থেকে নিচ পর্যন্ত দুর্নীতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজশে চিকিৎসকরা মুনাফা করছেন।

হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, 'সবকিছুরই একটা সীমা থাকতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব সময় কেনাকাটার জন্য প্রস্তুত। একমাত্র আল্লাহই জানেন ওই কেনাকাটায় কী থাকে। আপনারা ১৭ কোটি মানুষের টাকা খাচ্ছেন।'

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং কারা মহাপরিদর্শকের আইনজীবীদের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, 'আপনারা কতজনের কাছে ক্ষমা চাইবেন? আপনারা যদি পরকালে বিশ্বাস করতেন তবে চুরি করতে পারতেন না।'

কারাবন্দীদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য সারাদেশের কারাগারে ডাক্তার নিয়োগের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেআর খান রবিন ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জনস্বার্থে মামলা হিসেবে দায়ের করেন।

বিচারপতি কামরুল কাদের বলেন, 'এ দেশের সন্তান হিসেবে আমরা অনেক কিছুই জানি। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম। যা দেখেছি তা বিদেশের একটি ছোট হাসপাতালের চেয়েও খারাপ।'

এই বিচারপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এলাকার কাছাকাছি হলেও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে দুর্নীতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ সরকারি চিকিৎসক ঢাকায় বসে বেসরকারিভাবে রোগী দেখার কারণে গ্রামীণ এলাকার মানুষকে যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেন।

আদালত বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে এ ধরনের দুর্নীতি হতে পারত না। কারাগারে অনেক নিরীহ মানুষ রয়েছেন এবং সকল বন্দীদের অবশ্যই যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

আদালত সরকারকে কারাগারে ১৬টি শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দেন।

স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং কারাগারের আইজিকে আদেশটি প্রতিপালন করতে বলে এবং ৬ জুনের মধ্যে আদালতে এই বিষয়ে প্রতিবেদন রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে দিনের শুরুতে, কারাগারের আইজির কার্যালয় আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে বলেছিল, কারাগারে ডেপুটেশনে মোট ১২৫ জন চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে ১৬টি পদ শূন্য রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসকে সাইফুজ্জামান এবং কারা আইজির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শফিকুল ইসলাম।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

8h ago