ডোহেনি তাইজুলের শিকার হওয়ার পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ
বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের করা প্রথম ওভারটি হলো ঘটনাবহুল। দ্বিতীয় বলে হ্যারি টেক্টরকে বিদায় করার সুযোগ লুফে নিতে ব্যর্থ হলেন তিনি। শেষ বলে রানআউট হওয়া থেকে বেঁচে গেলেন স্টিফেন ডোহেনি। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না ডোহেনি। আক্রমণে ফিরেই তাইজুল সাজঘরে পাঠালেন তাকে। এর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে গেল খেলা।
মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলের ছুঁড়ে দেওয়া ২৪৭ রানের মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করছে স্বাগতিকরা। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ১৬.৩ ওভারে চাপে থাকা আইরিশদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬৫ রান। ক্রিজে আছেন টেক্টর ৩৭ বলে ২১ রান নিয়ে। মাত্রই নামা লরকান টাকারের সংগ্রহ ৪ বলে ২ রান। বৃষ্টি হানা দেওয়ায় উইকেট ও মাঠের কিছু অংশ ঢাকা রয়েছে কভার দিয়ে।
দলীয় ২৭ রানের মধ্যে অভিজ্ঞ পল স্টার্লিং ও অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ব্যালবার্নির বিদায়ের পর জমে উঠতে শুরু করেছিল ডোহেনি ও টেক্টরের জুটি। তবে দুজনকেই ইনিংসের ১৪তম ওভারের আউট করতে পারত বাংলাদেশ। যদিও সুবর্ণ সম্ভাবনাগুলো সফলতার মুখ দেখেনি।
১৪তম ওভারে বল হাতে নিয়ে দ্বিতীয় বলেই সুযোগ তৈরি করেন তাইজুল। তার ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারিতে ইনসাইড আউট শট খেলতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ তোলেন টেক্টর। ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি ঠিকঠাক। তবে এক হাতে চেষ্টা চালিয়েও বল লুফে নিতে পারেননি তাইজুল। ব্যক্তিগত ১০ রানে জীবন পান টেক্টর।
তিন বল পরই আসে ওপেনার ডোহেনিকে রানআউটের সুযোগ। তাইজুলের ডেলিভারি টেক্টর কভারে ঠেলে দিয়েই লাগান দৌড়। ঝুঁকি নিয়ে স্ট্রাইক প্রান্তের দিকে যেতে হয় ডোহেনিকে। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের থ্রো হয়নি জুতসই। স্টাম্পের অনেক দূর দিয়ে তো যায়ই, উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের নাগালের মধ্যেও ছিল না। ফলে পড়িমরি করে ছুটতে থাকা ডোহেনি বেঁচে যান। ইনিংসের প্রথম ওভারেও তিনি রিভিউ নিয়ে জীবন পান। শূন্য রানে থাকা অবস্থায় পেসার হাসান মাহমুদের বলে তার বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আম্পায়ার। পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, বাড়তি বাউন্সের কারণে বলে চলে যেত স্টাম্পের উপর দিয়ে।
বাংলাদেশকে অবশ্য বেশিক্ষণ আফসোসে পুড়তে হয়নি। ১৬তম ওভারে ফিরে ভেলকি দেখান তাইজুল। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসা ডোহেনিকে ফিরতি ক্যাচে আউট করেন তিনি। এই দফা আর কোনো ভুল করেননি। ৩৯ বলে ১৭ রান আসে ডোহেনির ব্যাট থেকে। তার সঙ্গী তৃতীয় উইকেটে টেক্টরের জুটি ছিল ৬২ বলে ৩৬ রানের।
স্বাগতিকদের ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই স্টার্লিংকে আউট করে সফরকারীদের উল্লাসে মাতান শরিফুল ইসলাম। এই বাঁহাতি পেসারের লেংথে ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন স্টার্লিং। বল লুফে নিতে কোনো ভুল করেননি মিরাজ। ১০ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে স্টার্লিংয়ের রান ১৫।
ঠিক আগের বলেই মাঠের প্রায় একই জায়গা দিয়ে ছক্কা মেরেছিলেন স্টার্লিং। কিন্তু বিপজ্জনক এই ডানহাতি ব্যাটারকে মাথাব্যথার কারণ হতে দেননি শরিফুল। পরের বলেই নেন প্রতিশোধ। এতে দলীয় ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে শিকার ধরেন হাসান। এই ডানহাতি পেসারের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে উপড়ে যায় ব্যালবার্নির স্টাম্প। ৯ বলে ১ চারে তার রান ৫। স্কোরবোর্ডে ২৭ রান উঠতেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে আইরিশদের।
Comments