এমপির পাশে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে আ. লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষ, ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চাটখিলে গতকাল একটি স্কুলের নতুন ভবন উদ্বোধনের সময় আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীতে একটি স্কুলের নতুন ভবন উদ্বোধনের সময় সংসদ সদস্যের পাশে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ওই সংঘর্ষের পর রাতে মামলা হলেও, আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

গতকাল বিকেলে নোয়াখালীর চাটখিলে মোহাম্মদপুর জনতা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করতে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।

চাটখিল থানা সূত্র জানায়, উদ্বোধন শেষে মোনাজাতের সময় সংসদ সদস্যের পাশে এসে দাঁড়ান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। এ সময় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান বাহলুল আনোয়ার হোসেনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। 

তখন মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জহির উদ্দিন স্বপন এর প্রতিবাদ করলে, তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এরপর চেয়ারম্যান বাহলুল ও তার লোকজন জহির উদ্দিন স্বপন, আনোয়ার হোসেন এবং তাদের লোকজনদের আটক করে হামলা চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়।

এ ঘটনায় চাটখিল থানার উপ পরিদর্শক মো. আল আমিন অজ্ঞাত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান বাহলুল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টিপু সুলতান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রকৃত দোষীদের নাম বেরিয়ে এলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

জানতে চাইলে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। এই ঘটনায় একটি মামলা তদন্তাধীন আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago