স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েও হয়রানির শিকার
পাবনায় ঈদের দিন এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার ভাসুরের বিরুদ্ধে। ২ দিন পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। তবে ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের ওই কর্মী পলাতক। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গৃহবধূর স্বামী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি অটোরিকশাচালক। পাবনা শহরে একটি বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন। ঈদের দিন চাচাত ভাই মাইদুল ইসলাম রাব্বি তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ঈদের পর ২৪ এপ্রিল পাবনা সদর থানায় রাব্বির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গৃহবধূকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গৃহবধূর স্বামী জানান, হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে তার স্ত্রীকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক হয়রানি করেন সেখানকার কর্মী মানিক।
এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাবনা সদর থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযুক্ত ধর্ষক মাইদুল ইসলাম রাব্বিকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।'
অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্মী মানিককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক মীর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যে কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সে হাসপাতালের সার্বক্ষণিক কর্মী নয়। আউটসোর্স কর্মী হিসেবে কাজ করছে। যেহেতু হাসপাতালের অভ্যন্তরে ঘটনা ঘটেছে, সেহেতু তদন্ত কমিটি কাজ করছে।'
তদন্তে কারও দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
Comments