অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায় ভোট দেবে আদিবাসীদের পক্ষে

অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায় ভোট দেবে আদিবাসীদের পক্ষে
ছবি: সংগৃহীত

এ বছর আসন্ন আদিবাসী (ভয়েস টু পার্লামেন্ট) গণভোটে হ্যাঁ ভোটকে সমর্থন করতে সহায়তা করছেন অস্ট্রেলিয়ার নেতৃস্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা।  

দেশটির জাতীয় শীর্ষ সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইমামস কাউন্সিল (এএনআইসি) ভয়েসকে সমর্থনের জন্য সারা দেশে ২০০ জন ইমামকে কাজ করার জন্য মনোনিত করেছে। 

প্রায় ১ মিলিয়ন মুসলমানকে হ্যাঁ ভোট দেওয়ার জন্য তারা  প্রচার চালাচ্ছেন। 

আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেট দ্বীপবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির জন্য এ বছরের শেষের দিকে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
 
প্রায় ২৬০ বছর ধরে আদিবাসীরা নিজ ভূমিতে অধিকার বঞ্চিত। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের ইতিহাস ৫০ হাজার বছরেরও বেশি। ব্রিটিশ উপনিবেশ বিস্তারের ধারাবাহিকতায় ১৭৭০ সালে ক্যাপ্টেন কুক আদিবাসীদের পরাস্ত করে অস্ট্রেলিয়া দখল করেন। সেই থেকে অদিবাসীরা জাতি হিসেবে হারিয়ে ফেলে তাদের অধিকার। ১৯০১ সালে অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্ট গঠনের পর থেকে আজ পর্যন্ত সেখানে আদিবাসীদের কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তাদের কোনো ভোটাধিকার নেই। আইনগতভাবে কোনো আদিবাসী জমির মালিক হতে পারবে না। 

অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ গত বছর ফেডারেল নির্বাচনে তার জয়ের পর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি আদিবাসীদের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন এবং জাতি হিসেবে তাদের স্বীকৃতি দেবেন। এ জন্য প্রয়োজন একটি গণভোটের। 

গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ানদের দ্বারা প্রকাশিত সবশেষ নিউজপোলে দেখা গেছে যে ৬২ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান যারা ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলেন তারা আদিবাসীদের সমর্থন করেন।

গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইমামস কাউন্সিলের বার্ষিক রমজান ইফতারে যোগদান করেন। সেখানে তিনি উপস্থিতদের মুসলমানদের হ্যাঁ ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন।

সংগঠনটির উপদেষ্টা এবং মুখপাত্র বিলাল রউফ বলেছেন আদিবাসীদের ন্যায়বিচারের স্বার্থে কাজ করা বা সমর্থন করা এমন একটি মূল্য যা ইসলামে ব্যাপকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

তিনি আরও বলেন, 'এতে কোনো সন্দেহ নেই যে আদিবাসীরা প্রচুর অবিচারের শিকার হয়েছেন। বাস্তবতা হচ্ছে আমরা এই দেশেরই অংশ। এবং অতীতের সমস্যাগুলো সমাধান করার দায়িত্ব এখন আমাদের।'

দেশটির বিরোধীদল গত সপ্তাহে সরকারের আদিবাসীদের ভয়েস প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

2h ago