‘আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাংবাদিকতা করা এবং নীতি-নৈতিকতা মেনেই করা’

মায়ের সঙ্গে শামসুজ্জামান শামস। ছবি: আকলাকুর রহমান আকাশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে মায়ের কাছে ফিরেছেন সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস। 

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর প্রথম আলোর অফিস হয়ে রাত ১০টার দিকে ধামরাইয়ের ডাউটিয়া এলাকায় মামার বাসায় অপেক্ষারত মা করিমন নেছার কাছে পৌঁছান শামস।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির বাংলা বিভাগের প্রধান তুহিন সাইফুল্লা ও হেড অব অ্যাডমিন উৎপল রায়।

আবেগপ্লুতন হয়ে একমাত্র ছেলে শামসকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন মা। পরে দূর দূরান্ত থেকে আসা আত্মীয়-স্বজন, স্থানীয় সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন শামস।

৪দিন পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠে করিমন নেছার চোখ। কাঁদতে কাঁদতে তাদের সহায়তাকারী সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আমার একটি মাত্র ছেলে, আজ আমার বুকে ফিরে এসেছে, আমার আর কিছু চাই না। ছেলে এমন একটি জটিলতায় পড়েছিল, ওই মুহূর্তে দেশের সবাই ও দেশের বাহিরে থেকেও মানুষ আমার ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমি আর কিছু চাই না, আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি আমার ছেলের জন্য দোয়া চাই।'

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে শামসুজ্জামান শামস বলেন, 'মা অনেক চিন্তায় ছিলেন। মায়ের জন্য চিন্তা হচ্ছিল। মায়ের কাছে ফিরে ভালো লাগছে।'

শামস বলেন, 'প্রথমে আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সকলের প্রতি। সহকর্মী, সংবাদকর্মী যারা আমার পাশে ছিলেন, দেশবাসী এবং জাহাঙ্গীরনগন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্ষার্থী থেকে শুরু করে সকলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। তারা আমার এই সংকটকালে আমার পাশে ছিল। এটা আমাকে অনেক শক্তি যুগিয়েছে।' 

পরবর্তী পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে শামস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার নেক্সট প্ল্যান বলতে, আমি সাংবাদিকতা করেছি, আমার ভবিষ্যতের প্ল্যান হচ্ছে সাংবাদিকতাই করা এবং নীতি নৈতিকতা মেনেই সাংবাদিকতা করা।' 

মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আমার বিরুদ্ধে যে মামলটা হয়েছে সেটা আমরা আইনি পদ্ধতিতে মামলাটি লড়বো।'

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago