জ্যাম্পা-অ্যাগারের নৈপুণ্যে ভারতের মাটিতে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া

ছবি: এএফপি

শুরুর পর ইনিংস বড় করার আগেই সাজঘরে ফিরলেন ব্যাটাররা। তবুও তাদের সম্মিলিত অবদানে লড়াইয়ের পুঁজি পেল অস্ট্রেলিয়া। এরপর অ্যাডাম জ্যাম্পা ও অ্যাশটন অ্যাগারের নৈপুণ্যে ভারতকে লক্ষ্য থেকে দূরে থামাল তারা। অঘোষিত ফাইনাল জিতে স্টিভেন স্মিথের দল পকেটে পুরল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।

বুধবার চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচে রোহিত শর্মার দলকে ২১ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে ভারতের মাটিতে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জেতার উল্লাস করেছে সফরকারীরা। টস জিতে আগে ব্যাট করে ৪৯ ওভারে ২৬৯ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে ৫ বল বাকি থাকতে স্বাগতিকরাও গুটিয়ে যায় ২৪৮ রানে।

অজিদের জয়ে বল হাতে নেতৃত্ব দেন লেগ স্পিনার জ্যাম্পা। তিনি ১০ ওভারে ৪৫ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন বাঁহাতি স্পিনার অ্যাগার। ৪১ রান খরচায় তার শিকার ২ উইকেট।

মন্থর উইকেটে টার্ন থাকায় ব্যাটারদের কাজটা ছিল বেশ দুরূহ। তারপরও বিরাট কোহলির ফিফটিতে জয়ের দিকেই ছুটছিল ভারত। এক পর্যায়ে, হাতে ৬ উইকেট নিয়ে ৯০ বলে তাদের দরকার ছিল ৮৫ রান। ক্রিজে তখনও আসার অপেক্ষায় ছিলেন সুরিয়াকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজারা। তবে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জিতে নেয় প্রথম ওয়ানডেতে হারা অজিরা।

তিন বল খেলে শূন্য করা অধিনায়ক স্মিথ বাদে অস্ট্রেলিয়ার বাকি সবাই পৌঁছান দুই অঙ্কে। কিন্তু হাফসেঞ্চুরি পর্যন্ত যেতে পারেননি কেউই। সিরিজসেরা হওয়া ওপেনার মিচেল মার্শ সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন ৪৭ বল খেলে। তার ব্যাট থেকে আসে ৮ চার ও ১ ছক্কা। আরেক ওপেনার ট্রাভিস হেড ৪ চার ও ২ ছয়ে করেন ৩১ বলে ৩৩ রান। ত্রিশের ঘরে যেতে পারেন আর কেবল অ্যালেক্স ক্যারি। ছয়ে নেমে ৪৬ বলে ৩৮ রান তিনি করেন ২ চার ও ১ ছক্কায়।

অজিদের টপ অর্ডার ছাঁটেন ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। ৪৪ রান খরচায় তার শিকার ৩ উইকেট। মিডল অর্ডারের ৩ উইকেট নিতে বাঁহাতি স্পিনার কুলদীপ যাদব দেন ৫৬ রান। বাকি ৪ উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন মোহাম্মদ সিরাজ ও আক্সার প্যাটেল।

অজিদের উদ্বোধনী জুটি ছিল ৬৮ রানের, ভারত পায় ৬৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। দুই ওপেনার রোহিত ও শুবমান গিল ফেরেন অল্প সময়ের ব্যবধানে। তৃতীয় উইকেটে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে জোট বাঁধেন কোহলি। তারা যোগ করেন ৬৯ রান। এরপর ফের জোড়া উইকেট পড়ে। জ্যাম্পাকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে রাহুল ক্যাচ দেওয়ার পর আক্সার হন রানআউট।

জমে ওঠার আভাস ছিল কোহলি ও হার্দিকের জুটি। তবে সেসময় আসে ম্যাচের মোড় ঘোরানো পরিস্থিতি। ৩৬তম ওভারের প্রথম বলে কোহলিকে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ বানানোর পরের বলে সুরিয়াকুমারকে বোল্ড করেন অ্যাগার। ভারতের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা তিন ওয়ানডেতে গোল্ডেন ডাকের তিক্ত স্বাদ নেন সুরিয়াকুমার। আগের দুই ম্যাচে অজি পেসার মিচেল স্টার্কের শিকার হয়ে প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরেছিলেন তিনি।

ভারতের আশার আলো হয়ে ক্রিজে ছিলেন হার্দিক ও জাদেজা। ৩৩ রানের জুটির পর তাদের দুজনকেই ছাঁটেন ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা জ্যাম্পা। এরপর আর লক্ষ্যের কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি ভারতের পক্ষে।

Comments

The Daily Star  | English

Fulfilling sky-high expectations Yunus govt’s key challenge

Says ICG report on completion of interim govt’s 100 days in office

3h ago