ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন মিসিসিপি: স্কলারশিপ ও অন্যান্য তথ্য
ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন মিসিসিপি (ইউএসএম) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সাশ্রয়ী কলেজগুলোর মধ্যে অন্যতম। যেখানে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি সর্বোত্তম আতিথেয়তা এবং সংস্কৃতির অভিজ্ঞতার সুযোগ রয়েছে।
১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত দ্য ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন মিসিসিপি 'আর ওয়ান: ডক্টরাল ইউনিভার্সিটিস অব ভেরি হাই রিসার্চ অ্যাক্টিভিটি' বিভাগে কার্নেগি ক্লাসিফিকেশন অব ইনস্টিটিউশন অব হায়ার এডুকেশনের অন্তর্ভুক্ত ১৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম।
একাডেমিক এবং অ্যাথলেটিক্স উভয় ক্ষেত্রেই সাফল্যের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সক্ষম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ১৮০টিরও বেশি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি প্রোগ্রাম।
এ ছাড়া ৫টি শিক্ষণ ও গবেষণা সাইট এবং অনলাইন প্রোগ্রামের পাশাপাশি ২টি ক্যাম্পাসে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।
এক নজরে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন মিসিসিপি
মিসিসিপি উপসাগরীয় উপকূলের সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র ১ ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত ইউএসএম-এর হ্যাটিসবার্গ ক্যাম্পাস। ৩০০ একর আয়তনের এ ক্যাম্পাসে রয়েছে অন এবং অফ ক্যাম্পাস হাউজিং সুবিধা, শপিং মল এবং রেস্তোরাঁ। গাড়ি, বিমান এবং ট্রেনের মাধ্যমে অ্যাক্সেসযোগ্য বেশ কয়েকটি প্রধান মেট্রোপলিটন এলাকার সংযোগস্থল এটি। স্থানীয় বিমানবন্দরের মাধ্যমে প্রতিদিন ডালাসে সরাসরি ফ্লাইট এবং আমট্রাক হ্যাটিসবার্গ থেকে নিউ অরলিন্স এবং আটলান্টা পর্যন্ত প্রতিদিন রেল পরিষেবা দেওয়া হয়।
এখানে জেনারেল কোর্সের জন্য রয়েছে ফ্রি টিউটর, থাকার জন্য অন ক্যাম্পাসের প্রত্যেক রুম ও বোর্ডে লন্ড্রি, ইন্টারনেট সুবিধাসহ ৩টি ডর্ম, ২টি হাউজিং, ১টি স্পেশাল হাউজিং ও অফ-ক্যাম্পাস অ্যাপার্টমেন্ট। তবে ফ্রেশম্যানদের প্রথম বর্ষে অন ক্যাম্পাস থাকতে হয়।
এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য অভিবাসন, ব্যক্তিগত এবং একাডেমিক কাউন্সেলিং, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ক্লাব ও অর্গানাইজেশন, কালচারাল আউটিং ও অ্যাক্টিভিটিজ, বাই-উইকলি ইন্টারন্যাশনাল কফি আওয়ার, বার্ষিক ফুড ফেয়ার করা হয়।
যেসব বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে-
ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন মিসিসিপি বিশেষত পলিমার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, নার্সিং, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স এবং সাইকোলজি প্রোগ্রামের জন্য স্বীকৃত।
এ ছাড়া বিজ্ঞান, ব্যবসা, সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক শাখার কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, ভূগোল, জীববিজ্ঞান, সমুদ্রবিজ্ঞান, স্থাপত্যবিদ্যা, ফরেনসিক সায়েন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স, গণিত, স্পোর্টস সায়েন্স, সাংবাদিকতা, প্রযুক্তি, আইন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি, মিউজিক, মনোবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ফিন্যান্স, মার্কেটিং, অ্যাডভার্টাইজিং, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, দর্শন, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান; ফিল্ম, ফটোগ্রাফি অ্যান্ড মিডিয়া, ভিজ্যুয়াল আর্টস, উদ্যোগ, পাবলিক রিলেশনস, ডিজাইন, ইনফরমেশন টেকনোলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইত্যাদি বিষয় রয়েছে।
শিল্পকলার ৪টি শাখা: সঙ্গীত, শিল্প, নৃত্য এবং থিয়েটার বিভাগও রয়েছে এখানে।
স্কলারশিপের ধরন ও যোগ্যতা
ফ্রেশম্যান একাডেমিক অ্যাক্সিলেন্স স্কলারশিপ
৩ হাজার মার্কিন ডলার- ফুল টিউশন। এ ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষে পড়াকালীন ফল অ্যাডমিশনের জন্য আবেদন করতে হবে। ন্যূনতম ১০৬০ এসএটি বা ২১ এসিটি এবং গড় গ্রেড বি সহ ১ মার্চের মধ্যে ভর্তি হতে হবে।
ফ্রেশম্যান একাডেমিক হাউজিং স্কলারশিপ
প্রথম বর্ষে অন-ক্যাম্পাস হাউজিং থাকাকালীন আবেদন করতে হবে। পূর্বোল্লিখিত বিষয় থাকার পাশাপাশি অবশ্যই কমপক্ষে ১৪৫০ এসএটি বা ৩৩ এসিটি থাকতে হবে।
ফ্রেশম্যান অনার্স কলেজ স্কলারশিপ
আবেদনকারীর ৩.৫০ জিপিএ এবং ১১৬০ এসএটি স্কোর থাকতে হবে এবং ১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি হতে হয়। এ জন্য ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হয়। অনার্সে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীরা বছরে ন্যূনতম ২ হাজার মার্কিন ডলার পাবে এবং সব আবেদনকারী প্রেসিডেনশিয়াল এবং ডিসকভারি অ্যাওয়ার্ডের জন্য বিবেচিত হয়।
ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সফার স্কলারশিপ
পোস্ট-সেকেন্ডারি ক্রেডিটের ওপর ভিত্তি করে ১ থেকে ৩ বছর ৪ হাজার মার্কিন ডলার করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। সম্পন্ন করা সংখ্যার ওপর নির্ভর করে। এ জন্য সব ইনস্টিটিউশন থেকে ৩.০০ পোস্ট-সেকেন্ডারি জিপিএ প্রয়োজন হবে।
গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ
আবেদনকারীর আগ্রহের ওপর নির্ভর করে এবং একাডেমিক বিভাগ অ্যাসিস্ট্যান্ট নির্বাচন করে বিধায় অর্থের পরিমাণ ভিন্ন হয়।
এ ছাড়া এখানে শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আরও কিছু স্কলারশিপ দেওয়া হয়-
গ্র্যান্ট বা স্কলারশিপ এইড- ৭ হাজার ৭১৮ মার্কিন ডলার; ফেডারেল গ্র্যান্টস- ৪ হাজার ৬৮০ মার্কিন ডলার; পেল গ্র্যান্টস- ৪ হাজার ৮২০ মার্কিন ডলার; অন্যান্য ফেডারেল গ্র্যান্টস - ৪৫৯ মার্কিন ডলার; স্টেট/লোকাল গর্ভনমেন্ট গ্র্যান্ট বা স্কলারশিপ- ২ হাজার ৯২২ মার্কিন ডলার; ইনস্টিটিউশনাল গ্র্যান্টস বা স্কলারশিপ- ৫ হাজার ৭৬১ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন লোন এইডও দেওয়া হয়। যেমন স্টুডেন্ট লোন এইড- ৬ হাজার ৫৬৩ মার্কিন ডলার; ফেডারেল স্টুডেন্ট লোন- ৮ হাজার ৩৬৭ মার্কিন ডলার; অন্যান্য স্টুডেন্ট লোন- ১০ হাজার ৫৭৫ মার্কিন ডলার।
তবে জিপিএ এবং অন্যান্য বিষয়াবলির ভিত্তিতে মাইক্রো-স্কলারশিপেরও সুবিধা রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন মিসিসিপিতে। যেমন বিদেশি ভাষার ক্লাসের জন্য ৫ হাজার মার্কিন ডলার; সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য ৩ হাজার মার্কিন ডলার; চ্যালেঞ্জিং ক্লাসের জন্য ৩ হাজার মার্কিন ডলার; কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে ১২ হাজার মার্কিন ডলার; কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শনের জন্য ৬ হাজার মার্কিন ডলার; সামার প্রোগ্রামে উপস্থিতির জন্য ৪ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার; কমিউনিটি সার্ভিসের জন্য ৫০০ মার্কিন ডলার; বছরে পর্যাপ্ত উপস্থিতির জন্য ২ হাজার ১০০ মার্কিন ডলার; খেলাধুলায় অংশগ্রহণের জন্য ১ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার।
আবেদনের সময়
- ফল সিমেস্টার (আগস্ট) ১ জুন
- স্প্রিং সিমেস্টার (জানুয়ারি)- ১ নভেম্বর
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট
অনলাইন আবেদনপত্র (আবেদনপত্র ফি ৪৫ মার্কিন ডলার); উচ্চ মাধ্যমিকের ট্রান্সক্রিপ্ট; ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণপত্র (টোফেল ৭১, আইইএলটিএস ৬.০, আইটিইপি ৪.০, এসএটি ইংলিশ ৪৮০, ও-লেভেল ইংরেজি গ্রেড সি); ফ্রেশম্যানের ক্ষেত্রে অপশনাল: এসএটি/এসিটি (স্কলারশিপ অনুযায়ী); ট্রান্সফার্ড আবেদনকারীকে অবশ্যই পোস্ট-সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশন থেকে অফিসিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট ও সেগুলো বিদেশে মূল্যায়নের জন্য শংসাপত্র জমা দিতে হবে।
গ্র্যাজুয়েট
অনলাইন আবেদনপত্র (আবেদনপত্র ফি ৬০ মার্কিন ডলার); পোস্ট-সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশন হতে প্রাপ্ত অফিসিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট; ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণপত্র (টোফেল ৭১, আইইএলটিএস ৬.০, পিটিই ৫৪, আইটিইপি ৪.০); অফিসিয়াল জিআরই/এমএটি বা এমএটি স্কোর (কিছু মেজরের ক্ষেত্রে), ৩ রেকমেন্ডার, স্টেটমেন্ট অব পারপাস।
আবেদন প্রক্রিয়া
বাংলাদেশ থেকে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন মিসিসিপিতে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থী মনিরা বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নির্দিষ্ট সেশনে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে ডেডলাইনের আগেই প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে অনলাইন পোর্টালে নিজস্ব প্রোফাইল খুলে সেখানে তথ্য দিতে হবে। তথ্যাদির প্রমাণপত্রের সফট কপি আপলোড করতে হবে। আবেদন গৃহীত হলে পরবর্তীতে ট্রান্সক্রিপ্টের মূল কপি (সিলকৃত) ডিএইচএলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। আইডিপি বা ব্রিটিশ কাউন্সিলে আবেদনের মাধ্যমে আইএলটিএস এর ইলেকট্রনিক কপি সেখান থেকেই সরাসরি পাঠানো যায় অথবা ট্রান্সক্রিপ্টের সঙ্গেও পাঠানো যাবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডকুমেন্টের অনলাইন কপি, ট্রান্সক্রিপ্টের মূল কপি পাওয়ার পর পোর্টালের মাধ্যমে জানা যাবে।
এ ছাড়া ৩ জন শিক্ষকের নাম ও ই-মেইল অ্যাড্রেস দিতে হয়। তারপর তাদেরকে রেকমেন্ডেশন লেটারের লিংক পাঠানোর পর তারা সাবমিট করলে পোর্টালে আপডেট হয়ে যাবে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়নের পর পরবর্তী কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে দেওয়া প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাবে। চাইলে পছন্দের প্রোগ্রাম ও বিষয়ের ফ্যাকাল্টির শিক্ষকের সঙ্গেও ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে, বলে জানান তিনি।
মনিরা বেগম আরও বলেন, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন মিসিসিপিতে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ (টিএ) হিসেবেও আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি টিএ করলে বিভিন্ন কোর্স পড়ানোর সুযোগ পাওয়া যায়। যার ফলে যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীর অর্জিত দক্ষতায় আলাদা মাত্রা যোগ করে, যা পিএইচডি বা শিক্ষকতা পেশায় বেশ কাজে লাগে।
এ ছাড়া বিষয়ভিত্তিক ল্যাব, সেন্টারে কাজ করার পাশাপাশি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পাবলিক রিলেশন, টেকনিক্যাল ক্ষেত্রে পার্ট-টাইম করার সুযোগ রয়েছে। জব ফেয়ারের মাধ্যমেও বিভিন্ন জায়গায় কাজের অফার পাওয়া যায়।
খরচ
বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী টিউশন ও ফিতে খরচের পরিমাণ
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট নন-রেসিডেন্ট (ফল ও স্প্রিং ২০২২-২৩) ১১ হাজার ৩৪০ মার্কিন ডলার।
ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের বার্ষিক খরচ (ফল ও স্প্রিং ২০২২-২৩) ২৬ হাজার মার্কিন ডলার (টিউশন, ফি, রুম এবং বোর্ড, বই ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র, স্বাস্থ্য বিমা এবং ব্যক্তিগত খরচ অন্তর্ভুক্ত)।
শিক্ষার্থীর অবস্থানভেদে খরচের পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন মিসিসিপিতে।
যেমন- ইন-স্টেট থাকলে ৯ হাজার ২০৪ মার্কিন ডলার; আউট-অব- স্টেটের ক্ষেত্রে ১১ হাজার ২০৪ মার্কিন ডলার। অন-ক্যাম্পাস রুম এবং বোর্ডে ১০ হাজার ৯৫০ মার্কিন ডলার আর অফ-ক্যাম্পাস রুম এবং বোর্ডে লাগবে ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া পারিবারিক আয়ের ভিন্নতা অনুযায়ী শিক্ষার্থীর গড় খরচ একেক রকম হবে।
আর আবেদন করা থেকে ভিসা পাওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছানো পর্যন্ত যাতায়াত খরচ বহন করার পাশাপাশি ফান্ডিং না পাওয়া অবধি প্রথম দিকে নিজের খরচ বহন করার মতো অর্থ নিয়ে যেতে হবে।
Comments