ভারত-পাকিস্তান সিরিজের জন্য মোদিকে অনুরোধ করবেন আফ্রিদি

শহিদ আফ্রিদি বলেছেন, তিনি খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দুই দেশের সিরিজ চালুর অনুরোধ করবেন।

এক দশক ধরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোন দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ হয়নি। দুই দলের দেখা হয় আইসিসি বা এসিসির আসরে। রাজনৈতিক বৈরিতার আঁচ ভীষণভাবে প্রভাবিত হচ্ছে খেলায়। তবে পরিস্থিতি বদলাতে মরিয়া পাকিস্তান। দেশটির সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি বলেছেন, তিনি খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দুই দেশের সিরিজ চালুর অনুরোধ করবেন।

চলতি বছর এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। ওয়ানডে বিশ্বকাপ আবার হবে ভারতে। কিন্তু পাকিস্তানে গিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে রাজী নয় ভারত। টুর্নামেন্টটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে করার প্রস্তাব দিচ্ছে তারা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আবার বলছে, ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তান না গেলে তারাও বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে না। এই অবস্থায় এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে অচলাবস্থা দূর হয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে প্রায়ই নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন দুই দেশের সাবেক ক্রিকেটাররা। লিজেন্ডস ক্রিকেট লিগ খেলতে ভারত-পাকিস্তানের অনেক সাবেক তারকা এখন কাতারের দোহায়। সেখানেই এই বিষয়ে কথা বলেছেন আফ্রিদি। সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দুই দেশের মধ্যে আগের মতো দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের বিকল্প দেখছেন না এই অলরাউন্ডার। এইজন্য তিনি মোদির দ্বারস্থ  হতে চান, 'দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেট চালু করতে আমি মোদি সাহেবকে অনুরোধ করব।'

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাণিজ্যিক সফলতায় সবচেয়ে শক্তিধর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআই। আফ্রিদি মনে করেন শক্তিশালীদেরই দায়িত্বটা এক্ষেত্রে বেশি,  'কোন সন্দেহ নেই বিসিসিআই শক্তিশালী। কিন্তু যখন আপনি শক্তিশালী হবেন আপনার দায়িত্বও বেশি থাকবে। আপনাকে তখন শত্রু কম বানাতে হবে, বন্ধু বেশি বানাতে হবে। যখন বেশি বন্ধু হবে আরও শক্তিশালী হবেন।'

সম্প্রতি ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতন দল পাকিস্তান সফর করে এসেছে। তবে ২০০৮ সালের পর সেদেশে আর যায়নি ভারত। আফ্রিদি মনে করেন পাকিস্তান এখন খেলার জন্য পুরোপুরি নিরাপদ, তারা চান ভারত যেন সেখানে খেলতে যায়, 'পাকিস্তানে সম্প্রতি বড় দলগুলো সফর করেছে। ভারতেও আমরা নিরাপত্তার হুমকি পেয়েছি। কিন্তু সরকার থেকে যদি অনুমতি আসে তখন ট্যুর হওয়া সম্ভব। কিছু মানুষ চান ভারত-পাকিস্তানের মাঝে যেন ক্রিকেট খেলাই না হয়।'

'যোগাযোগ হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনার মাধ্যমে সবই সমাধান হতে পারে। এটা ভালো হয় ভারত যদি পাকিস্তানে খেলতে আসে। আমরা ও আমাদের সরকার ভালো সম্পর্ক করতে চাই।'

২০১২ সালের শেষ দিকে সর্বশেষ ভারত সফরে গিয়েছিল পাকিস্তান। ২০১৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল তারা। এরপর দশ বছর ধরে চলছে 'আড়ি'। তবে সরকার ও ক্রিকেট প্রশাসনের মতন দূরত্ব নেই ক্রিকেটারদের মধ্যে। দুই দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যেই আছে হৃদ্যতা। আফ্রিদি সেই জায়গাটাও তোলে ধরলেন,  'ভারতীয় দলে এখনও আমার অনেক বন্ধু আছে। দেখা হলে আমরা আড্ডা দিই। এই তো আগের দিন সুরেশ রায়নার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। ওর কাছে আমি একটা ব্যাট চেয়েছিলাম। ও ব্যাট দিল।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

7h ago