আজ মস্কোয় ‘পুরোনো বন্ধু’ শি’কে স্বাগত জানাবেন পুতিন

চীনা প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফর
বেইজিংয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ৩ দিন পর মস্কোয় যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে চীনা প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাবেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি চীনা সংবাদমাধ্যমের জন্য লেখা নিবন্ধে প্রেসিডেন্ট পুতিন চীনা প্রেসিডেন্টকে 'পুরোনো বন্ধু' হিসেবে অভিহিত করে তার সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

লেখায় চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চীনের মধ্যস্থতার আগ্রহকেও তিনি স্বাগত জানান।

তিনি আরও লেখেন, 'ইউক্রেনে বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে চীনের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানের জন্য আমরা দেশটির কাছে কৃতজ্ঞ। তারা এ ঘটনার পটভূমি ও প্রকৃত কারণগুলো জানেন। এই সংকট দূর করতে গঠনমূলক ভূমিকা পালনে চীনের আগ্রহকে আমরা স্বাগত জানাই।'

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সংকট সমাধানে গত মাসে চীন যে ১২ দফা শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে তাতে যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই।

ইউক্রেন এই প্রস্তাবকে সতর্কতার সঙ্গে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, 'শান্তির জন্য রাশিয়াকে ক্রিমিয়াসহ দখলকৃত অঞ্চলগুলো ছেড়ে দিতে হবে।'

যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই উদ্যোগ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। কেননা, চীন এখনো রুশ আগ্রাসনের নিন্দা করেনি।

আজ চীনের রাষ্ট্রীয় নিউজ চ্যানেল সিজিটিএন জানিয়েছে, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির মুখে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি'র ৩ দিনের এই সফরে (২০-২২ মার্চ) বন্ধুপ্রতীম দেশ ২টির কৌশলগত অংশীদারিত্ব, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পাবে বলে জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আজ মস্কো আসার আগে চীনের প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন সংকট সমাধানে 'যৌক্তিক পথ' খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।

রুশ দৈনিক রশিস্কায়া গাজেটায় শি লিখেছেন, 'ইউক্রেন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের জন্য চীনের প্রস্তাবিত ১২ দফা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

Consensus key to reforms, election

Chief Adviser Muhammad Yunus yesterday said reforms without consensus and elections without reforms would not be able to take Bangladesh forward.

7h ago