সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ

সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিক সান্টু ১ দিনের রিমান্ডে

সীমা
সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে গত ৪ মার্চ বিস্ফোরণ হয়। ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় কারখানা পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলার অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক পারভেজ উদ্দিন সান্টুর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বুধবার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সীতাকুণ্ড এলাকা থেকে সান্টুকে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে আজ হাতকড়া পরানো এবং কোমরে দড়ি বেঁধে ৪ জন পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ৪ মার্চের সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭ জন নিহত হন এবং ২৫ জনের বেশি আহত হন। 

বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তের পর মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেয় সরকারি তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে বিস্ফোরণের পেছনে প্রতিষ্ঠান মালিকের গাফিলতি উঠে এসেছে বলে চট্টগ্রামের ডিসি আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানিয়েছেন।

সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট লিমিটেডের মালিকানা সীমা গ্রুপের। সীতাকুণ্ডে সীমা গ্রুপের দুটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট, স্টিল রি-রোলিং মিল এবং শিপব্রেকিং ইয়ার্ড আছে। 

সান্টুর বাবা মোহাম্মদ শফি ছিলেন এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি ১৯৯১ সালে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান মালিক পারভেজ উদ্দিন সান্টু সীতাকুণ্ড আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। 

২০১৮ সালের শুরুর দিকে সান্টু সীতাকুণ্ড আসন থেকে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করেন। 

গত ৬ জুন চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম মীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিক ও শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Dismissed BDR members, families block Shahbagh demanding justice

Their demands are justice for the victims of the 2009 Pilkhana massacre, reinstatement of dismissed personnel, and recognition of their grievances

30m ago